
প্রতিনিধি বিকাশ কাপালি,কুমারঘাট
কুমারঘাট: সংস্কারের অভাবে দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে আছে কুমারঘাট মহকুমার পেচারতল ব্লকের আওতাধীন মাছমারা ভুবনপুর এলাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট। দফতরের কোনো উদ্যোগ না থাকায় পানীয় জল সংকটে ভুগছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
ঘটনার বিবরণ অনুসারে, এই এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে পানীয় জলের সংকটে ভুগছেন। অতীতে জল সংকটের প্রতিবাদে তারা একাধিকবার রাস্তা অবরোধ করলেও সমস্যার সমাধান হয়নি। পরবর্তীতে কিছু কন্ট্রাক্টর জল সরবরাহের নাম করে সপ্তাহে দু-তিনবার গাড়িতে করে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু এর আড়ালে লক্ষ লক্ষ টাকা বিল করা হলেও জল সরবরাহ যথাযথভাবে হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে দেও নদীর তীরে ভুবনপুর এলাকায় এই ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজ শুরু করেছিল। কিন্তু স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিদের স্বার্থ রক্ষার জন্য বহিরাগত একটি কন্ট্রাক্টর সংস্থা কাজটি শুরু করে এবং কয়েক বছর কাজ চালানোর পর অর্ধসমাপ্ত অবস্থায় ফেলে রেখে এলাকা ছেড়ে চলে যায়। এরপর থেকে এই প্রকল্পটি কার্যত পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
এলাকার হাজার হাজার জাতি-উপজাতি মিলিয়ে একটি বড় জনগোষ্ঠী পানীয় জলের অভাবে ভুগছে। কিন্তু স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে কোনো কার্যকরী উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। একাধিকবার তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও সমস্যার সমাধান হয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে অনেকেই এখন কুয়োর জল পান করতে বাধ্য হচ্ছেন, যা স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ভুবনপুর এলাকা একটি ঘনবসতিপূর্ণ এবং কৃষিনির্ভর অঞ্চল। এখানকার মানুষের জীবনযাত্রার মান পানীয় জলের অভাবে ক্রমশ নিম্নমুখী হচ্ছে। কৃষিকাজের জন্যও পানির প্রয়োজন থাকলেও তা মিলছে না।
এলাকাবাসীর দাবি, অবিলম্বে এই ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টটি পুনরায় চালু করার ব্যবস্থা নেওয়া হোক। প্রশাসন যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে এলাকাবাসী।
এখন দেখার বিষয়, প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দফতর এই বিষয়ে কবে এবং কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়।