
কৈলাসহর,প্রতিবেদন,২৬শে ডিসেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, কৈলাসহরের কামরাঙ্গাবাড়ীতে মহা রুদ্রযজ্ঞের আয়োজন করা হয়। উড়িষ্যার কিয়ার ব্যাঙ্ক মঠের অধ্যক্ষ এবং মহাযোগী গোরক্ষনাথ যোগাশ্রম সংঘের প্রতিষ্ঠাতা শিবনাথজী মহারাজের উপস্থিতিতে এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি ভক্তদের অংশগ্রহণে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। শিবনাথজী মহারাজের শিষ্য স্বামী ভক্তিনাথজীও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। মহারাজকে সুসজ্জিত বাইক র্যালির মাধ্যমে বরন করে অনুষ্ঠানের স্থানে নিয়ে আসা হয়।
শিবনাথজী মহারাজের শৈব নাথ ধর্ম প্রচার এবং সমাজে তার অবদানের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ১৯৮১ সালে প্রথমবার তিনি ত্রিপুরায় আগমন করেন এবং তার নেতৃত্বে ত্রিপুরা, আসাম, পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষ্যায় শৈব নাথ ধর্মের নবজাগরণ সূচিত হয়। তার উদ্যোগে ত্রিপুরার বিভিন্ন জায়গায় শৈব নাথ ধর্মের মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল আগরতলার ধলেশ্বর, ধর্মনগরের পদ্মপুর এবং রানীর বাজারের মন্দির নির্মাণ কার্যক্রম।
শিবনাথজী মহারাজ ১৬ই ডিসেম্বর থেকে ত্রিপুরা সফরে রয়েছেন এবং ইতিমধ্যে আগরতলা, খোয়াই, মোহনপুর, বিশালগড়, রানীর বাজারে একাধিক ধর্মীয় কর্মসূচি পরিচালনা করেছেন। ৩১শে ডিসেম্বর ধর্মনগরের পদ্মপুরে শিবনাথজী মহারাজের শুভ আবির্ভাব দিবস দুই দিনব্যাপী কর্মসূচির মাধ্যমে পালিত হবে।
অনুষ্ঠানের সময় শিবনাথজী মহারাজ নাথ ধর্মের উৎপত্তি, বিস্তার এবং সমাজে নাথ সম্প্রদায়ের ভূমিকা নিয়ে বক্তব্য রাখেন। তিনি নাথ মঠ ও মন্দিরগুলির গুরুত্ব এবং তাদের কার্যক্রমের উপর আলোকপাত করেন। অনুষ্ঠানের শেষে ভক্তদের মধ্যে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয়।
ত্রিপুরা সফর শেষে ১৪ই জানুয়ারি ২০২৪ শিবনাথজী আসামের রামকৃষ্ণনগরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন এবং মাসব্যাপী আসামের বিভিন্ন স্থানে ধর্ম প্রচার করবেন। শিবনাথজী মহারাজের এই সফর এবং মহা রুদ্রযজ্ঞের আয়োজন নাথ ধর্মের প্রচার ও প্রসারের ক্ষেত্রে একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।