
Oplus_131072
প্রতিনিধি অনুপম পাল,কৈলাসহর
অবশেষে অপেক্ষার অবসান। দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করে চন্ডিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা সমাজকল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়ের উদ্যোগে মহালয়ার পবিত্র সন্ধ্যায় মনু নদীর তীরে নির্মিত শতরূপা ঘাটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হল। এদিন গঙ্গারতির মধ্য দিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাধিপতি অমলেন্দু দাস, জেলা পরিষদ সদস্য বিমল কর, সমাজসেবী পিন্টু ঘোষ, মহকুমা শাসক বিপুল দাস, পূর্ত দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার রনজয় দেববর্মা, সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক দেবারতি দাস এবং চন্ডিপুর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপারসন শম্পা দাস পাল,ত্রিপুরা প্যারালিম্পিক এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান তথা মন্ত্রী টিংকু রায়ের সহধর্মীনি শঙ্করী রায় সহ অনান্যরা। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন শ্রীরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আমরি দাস সরকার।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী টিংকু রায় বলেন, “মনু নদী শুধু একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নয়, এটি এই অঞ্চলের মানুষের হৃদয়ের সাথে নিবিড়ভাবে জড়িত। ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠান নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার জন্য এই ঘাট অপরিহার্য হয়ে উঠেছিল। আজকের এই উদ্যোগ ভবিষ্যতে সমাজের ঐতিহ্য ও ধর্মীয় কর্মকাণ্ডকে আরও গৌরবান্বিত করবে।”
প্রসঙ্গত, গত ২১ বছর ধরে মনু নদীতে বারুণী স্নান অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে কৈলাসহর কাচরঘাট স্থিত রাধামুরলীধর সেবাশ্রমের সঞ্চালক বিল্বমঙ্গল গোস্বামীর আন্তরিক প্রচেষ্টায়। তবে এতদিন পর্যন্ত কোনো স্থায়ী ঘাট না থাকায় ভক্তদেরকে নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হতো। সেই অভাবই পূরণ করল এই শতরূপা ঘাট।
এদিনের অনুষ্ঠানে কেবল ঘাট উদ্বোধনই নয়, চন্ডিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের কীর্তনীয়া দলগুলোর জন্য ৩১টি সংগীত বাদ্যযন্ত্র বিতরণ করা হয়। জানা যায়, বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন প্রকল্প থেকে ৭ লক্ষ ৭২ হাজার ৩২০ টাকা ব্যয়ে এই বাদ্যযন্ত্রগুলি ক্রয় করা হয়েছে। ভারত সরকারের এমজিএম রেগা প্রকল্পের মাধ্যমে চন্ডিপুর সমষ্টি উন্নয়ন কার্যালয় এগুলি প্রদান করে।শেষে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়ের উপস্থিতিতে গঙ্গা ঘাটে সন্ধ্যারতি অনুষ্ঠিত হয়। ধর্মীয় আবহে ভক্তিমূলক এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত মানুষেরা পরিপূর্ণ আধ্যাত্মিক আনন্দ উপভোগ করেন।