
সংবাদ প্রতিনিধি। অনুপম পাল। কৈলাসহর
গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে কৈলাসহর শহরের উত্তরাঞ্চলের বাবুরবাজার এলাকায় “খান ফ্যাশন” নামক একটি কাপড়ের দোকানে বৃহস্পতিবার রাত প্রায় ১১টা নাগাদ এক অভিযান চালায় জেলা পুলিশ। অভিযানে দোকানটি তালাবদ্ধ অবস্থায় থাকলেও, স্থানীয় প্রধান সরীফ আলির উপস্থিতিতে দোকানের দরজা খুলে তল্লাশি চালিয়ে মোট ১০ প্যাকেট বার্মিজ সিগারেট বাজেয়াপ্ত করা হয়।
পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, এই অবৈধ বার্মিজ সিগারেট ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে পাচারের উদ্দেশ্যেই দোকানে মজুদ করে রাখা হয়েছিল। অভিযানে নেতৃত্ব দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জে. দারলং, ইরানি থানার ওসি অরুণদয় দাস, ডিসি মতি রঞ্জন দেববর্মা, সঞ্জিত কুমার দেববর্মা সহ বিশাল পুলিশ ও টিএসআর বাহিনী।
সংবাদমাধ্যমকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জে. দারলং জানান, “গোপন সূত্রের ভিত্তিতেই এই অভিযান চালানো হয়েছে এবং প্রায় ৫ লক্ষ টাকার অবৈধ বার্মিজ সিগারেট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আমাদের কাছে তথ্য ছিল যে খান ফ্যাশন নামের এই দোকানের মালিক ওয়াহিদ খান দীর্ঘদিন ধরেই এধরনের অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত।তবে অভিযানের সময় দোকান মালিক ওয়াহিদ খানকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তিনি পলাতক, এবং পুলিশ তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।”পুলিশ জানিয়েছে, পুরো ঘটনার উপর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হবে।তবে সুত্রের খবর,পুলিশের কাছে যে তথ্য ছিলো সেটা ছিলো কালো টাকার (জাল নোট) তথ্য। কিন্তু অভিযানের সময় কোনো কালো টাকা অর্থাৎ জাল নোট উদ্ধার হয়নি।
সিগারেট পাচার চক্রের এমন কর্মকাণ্ডে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে স্থানীয় মহলে। সাধারণ ব্যবসার আড়ালে এভাবে আন্তর্জাতিক পাচার চক্রের সম্পৃক্ততা রুখতে জেলা পুলিশের এই অভিযান প্রশংসনীয় বলেই মনে করছেন সচেতন নাগরিকরা। তবে এখন সকলের নজর, পলাতক ওয়াহিদ খানের গ্রেফতার ও গোটা চক্রের মূল হোতাদের শনাক্তকরণের দিকেই।