
Oplus_131072
প্রতিনিধি অনুপম পাল,কৈলাসহর
দৈনিক সংবাদের প্রয়াত সাংবাদিক এবং কৈলাসহর প্রেস ক্লাবের বলিষ্ঠ সদস্য ধূর্জটী প্রসাদ দেবের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক বিশেষ বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রয়াত সাংবাদিকের পরিবারের পক্ষ থেকে আয়োজিত এই মহতী কর্মসূচি কৈলাসহর প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। এতে দরিদ্র ও অসহায় মহিলাদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ করা হয়, যা প্রয়াত সাংবাদিকের মানবিক ও সমাজসেবামূলক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি এক শ্রদ্ধাঞ্জলি স্বরূপ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক বীরজিৎ সিনহা, কৈলাসহর পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন চপলা দেবরায়, ভাইস চেয়ারপার্সন নীতিশ দে ও গৌরনগর পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান বদরুজ্জামান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কৈলাসহর প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোঃ জামাল উদ্দিন ও সম্পাদক সুকান্ত চক্রবর্তী।
অনুষ্ঠানে প্রয়াত সাংবাদিক ধূর্জটী প্রসাদ দেবের পরিবারের পক্ষ থেকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাব সম্পাদক সুকান্ত চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “ধূর্জটী প্রসাদ দেব শুধু একজন সাংবাদিকই ছিলেন না, তিনি ছিলেন সমাজের দর্পণ, যিনি সর্বদা মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। তাঁর দেখানো পথ অনুসরণ করাই হবে তাঁর প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা।”
প্রয়াত সাংবাদিকের সহধর্মিণী রিতা রায় দেব এবং একমাত্র পুত্র ধ্রুপদ রাজ দেবও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা জানান, প্রতি বছর এই দিনটিকে সমাজসেবার মাধ্যমে স্মরণ করার ইচ্ছা তাঁদের রয়েছে, যাতে প্রয়াত সাংবাদিকের আদর্শ ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছেও পৌঁছায়।
অনুষ্ঠানে প্রায় ৫০ জন দুঃস্থ মহিলার মধ্যে বস্ত্র বিতরণ করা হয়, যার মধ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মহিলারাও অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। এই মানবিক উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন উপস্থিত অতিথিরা। বিধায়ক বীরজিৎ সিনহা বলেন, “ধূর্জটী প্রসাদ দেবের মতো একজন সৎ ও নির্ভীক সাংবাদিকের স্মৃতির প্রতি এই সম্মান জানানো অত্যন্ত প্রশংসনীয়। সমাজের প্রতি তাঁর যে দায়বদ্ধতা ছিল, তা আজও আমাদের অনুপ্রাণিত করে।”
এই উদ্যোগকে আরও সম্প্রসারিত করার জন্য ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে দুঃস্থদের সহায়তা করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রয়াত সাংবাদিকের পরিবার ও প্রেস ক্লাবের সদস্যরা। তাঁদের লক্ষ্য, সমাজের অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে ধূর্জটী প্রসাদ দেবের আদর্শকে জীবিত রাখা।
এই মহতী আয়োজনে উপস্থিত সবাই প্রয়াত সাংবাদিকের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং সমাজের প্রতি তাঁর অবদানকে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।