
Oplus_0
প্রতিনিধি। অনুপম পাল। কৈলাসহর
ভগবান বিরসা মুন্ডার ১৫০তম জন্মজয়ন্তীকে ঘিরে চন্ডিপুর ব্লকের গোলকপুর স্কুল মাঠে আয়োজিত ধরতি আবা জনভাগিদারী জেলাভিত্তিক অনুষ্ঠানের আজ সমাপ্তি ঘটলো। জনজাতি উন্নয়ন, আত্মনির্ভর ভারত গঠনের দিশা এবং সরকারি পরিষেবার সরাসরি নাগরিকদের কাছে পৌঁছানোকে কেন্দ্র করে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের মন্ত্রী সান্তনা চাকমা ও সমাজকল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়।এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাধিপতি অমলেন্দু দাস, অতিরিক্ত জেলা শাসক অর্ঘ্য সাহা, মহকুমা শাসক প্রদীপ সরকার, চা বাগান নেতা চন্দ্রশেখর কূর্মী, জেলা পরিষদের সদস্য বিমল কর, সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক দেবপ্রিয়া দাস, এবং অন্যান্য আধিকারিকবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী সান্তনা চাকমা বলেন,”জনজাতিদের প্রতি সম্মান জানিয়ে জেলার ২১টি স্থানে ১৫ দিনব্যাপী প্রশাসনিক ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ এই মন্ত্রে দীক্ষিত সরকার সকল জাতিগোষ্ঠীর উন্নয়নে কাজ করছে। আত্মনির্ভর ভারত গঠনে মিলিত অংশগ্রহণ প্রয়োজন।”রাস্তাঘাট, পানীয় জল, আবাস যোজনা, শিক্ষা, শৌচালয়, সড়ক উন্নয়ন—সকল ক্ষেত্রেই সরকারের সক্রিয়তা নাগরিক জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে।”
‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বলেন,”আমাদের নিজস্ব উৎস ও উৎপাদনের মাধ্যমে বাজারজাতকরণে মনোযোগ দিতে হবে। এতে যেমন দেশীয় পণ্যের উৎপাদন বাড়বে, তেমনি বাইরের পণ্যের উপর নির্ভরতা কমবে।”
বহুল আলোচিত দুর্নীতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে সান্তনা চাকমা বলেন,”একসময় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধি বলেছিলেন দিল্লি থেকে ১০০ টাকা দিলে সাধারণ মানুষের কাছে ১৫ টাকা পৌঁছত। এখন মোদিজির চিন্তাধারায় সেই ১০০ টাকা সরাসরি মানুষের একাউন্টে পৌঁছায়, মাঝপথে আর দুর্নীতি হয় না।”
মন্ত্রী টিংকু রায় তাঁর বক্তব্যে বলেন,”ধরতি আবা বিরসা মুন্ডার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে রাজ্য সরকার জনজাতি সম্প্রদায়ের জন্য বহু ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং সামাজিক কল্যাণে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার একযোগে কাজ করছে।”
“এই কর্মসূচির মাধ্যমে জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিয়ে যে সচেতনতা তৈরি হয়েছে, তা ভবিষ্যতে জনকল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
অনুষ্ঠানে পিআরটিসি, আধার, এসটি/এসসি/ওবিসি সার্টিফিকেট বিতরণ সহ বিভিন্ন দপ্তরের স্টল স্থাপন করা হয়, যেখানে প্রচুর নাগরিক সরকারি পরিষেবা গ্রহণ করেন। পাশাপাশি বনদপ্তরের পক্ষ থেকে দুই শতাধিক চারা গাছ বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চন্ডিপুর পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান বিনয় সিংহ।এই জনভাগিদারী মেলার মাধ্যমে প্রশাসনের সঙ্গে জনজাতি সম্প্রদায়ের প্রত্যক্ষ সংযোগ স্থাপিত হয়েছে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।