
নিজস্ব প্রতিনিধি,আগরতলা,সাব্রুমের শতবর্ষ প্রাচীন দৈত্যেশ্বরী কালী মন্দিরে গভীর রাতে ঘটে গেল দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা। বৃহস্পতিবার রাতে চোরের দল মন্দিরে হানা দিয়ে আনুমানিক ২৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, বেশকিছু রুপোর গহনা এবং নগদ ২০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
শুক্রবার সকালে মন্দিরের পুরোহিত দৈত্যেশ্বরী মন্দিরে গিয়ে দেখতে পান, মন্দিরের দরজা ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। খবর দেওয়া হয় সাব্রুম থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পায়, মায়ের বিগ্রহের স্বর্ণালঙ্কার এবং নগদ অর্থ উধাও। সাব্রুমের জনগণ দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিলেন যে মন্দিরের স্বর্ণালঙ্কার গুলি নিরাপত্তার স্বার্থে ট্রাস্টের মাধ্যমে মহকুমা শাসকের হেফাজতে বা ব্যাংকের লকারে রাখা হোক। তবে সেই দাবি উপেক্ষিত থাকায় চুরির সুযোগ তৈরি হয়।
পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে তিনজন চোরকে শনাক্ত করে। অভিযুক্তদের মধ্যে দুইজন—সজল নমঃ এবং চেলটু ত্রিপুরাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে প্রায় ৭৬.৪৭ গ্রাম স্বর্ণালঙ্কার এবং নগদ ৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তৃতীয় অভিযুক্ত ঝুলন নমঃ পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত দুই চোরের বিরুদ্ধে আগেও চুরির মামলা দায়ের করা হয়েছিল। কিছুদিন আগেই তারা জেল থেকে মুক্তি পেয়েছিল এবং জেলেই তাদের বন্ধুত্ব হয়। মুক্তি পাওয়ার পর তারা মন্দিরে এই দুঃসাহসিক চুরির পরিকল্পনা করে।
সাব্রুম মহকুমার পুলিশ আধিকারিক নিত্যানন্দ সরকার জানিয়েছেন, “মামলা হাতে নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত শুরু করা হয়। অভিযুক্তদের একজন পালিয়ে গেলেও খুব শীঘ্রই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।”
এই চুরির ঘটনায় সাব্রুমের জনগণ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা দীর্ঘদিন ধরে মন্দিরের স্বর্ণালঙ্কারগুলিকে নিরাপদ স্থানে রাখার দাবি জানালেও মন্দির পরিচালনা কমিটির উদাসীনতার কারণে এই চুরির ঘটনা ঘটেছে। এলাকাবাসীরা দোষীদের কঠোর শাস্তি এবং মন্দিরের নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন।