
Oplus_131072
আগরতলা নিজস্ব প্রতিনিধি,ত্রিপুরার প্রধান রেফারেল হাসপাতাল জিবি প্যান্থ হাসপাতালে আবারও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার ট্রমা কেয়ার সেন্টারের সিটি স্ক্যান রুমে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে। যদিও বড় ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো গেছে, তবে এই ঘটনায় হাসপাতালের ফায়ার সেফটি ব্যবস্থার অভাব স্পষ্ট হয়েছে।
আগুনের সূত্রপাত হয় সিটি স্ক্যান রুমের পাওয়ার সাপ্লাই বক্সে। ওই সময় রুমে কোনো রোগী বা স্বাস্থ্যকর্মী উপস্থিত না থাকায় প্রাণহানি এড়ানো সম্ভব হয়। তবে অগ্নি নির্বাপক সরঞ্জামের অপ্রতুলতা এবং কর্মীদের তা ব্যবহারে অজ্ঞতার কারণে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারত। সাংবাদিক বান্টি দাস একটি ফায়ার এক্সটিংগুইশার ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এতে ভয়াবহ বিপর্যয় থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পায় হাসপাতাল।
এত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিভাগে অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা না থাকা এবং কর্মীদের প্রশিক্ষণের অভাব উদ্বেগজনক। স্বাস্থ্যকর্মীদের অগ্নি নির্বাপনের প্রাথমিক ধারণা না থাকায় ঘটনাস্থলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই আগুন নেভানো হলেও, তাদের মতে হাসপাতালের ফায়ার সেফটি ব্যবস্থা অত্যন্ত দুর্বল।
এই নিয়ে ছয় মাসে তৃতীয়বার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল জিবি হাসপাতালে। এর আগে প্রসূতি বিভাগে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বহু স্বাস্থ্য সরঞ্জাম ধ্বংস হয়েছিল। সেই ঘটনার পরও ফায়ার সেফটি নিয়ে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এই ধারাবাহিক অগ্নিকাণ্ড নিয়ে রাজ্যজুড়ে উদ্বেগ বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাসপাতালে প্রতিনিয়ত মানুষের ভিড় ও জীবনরক্ষাকারী সরঞ্জাম থাকায় অগ্নি নির্বাপনের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত জরুরি।
জিবি হাসপাতালের এই ঘটনায় কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। ভবিষ্যতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ফায়ার সেফটি ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে। মানবজীবনের সুরক্ষার জন্য এই পদক্ষেপ অবিলম্বে নেওয়া প্রয়োজন।