
Oplus_131074
প্রতিনিধি অনুপম পাল
কৈলাসহর,ঊনকোটি ত্রিপুরা
ঊনকোটি জেলার মহকুমা সদর কৈলাসহরের চন্ডীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ভারতীয় জনতা পার্টি তথা চন্ডীপুর মন্ডল কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত হল “সংবিধান গৌরব দিবস কর্মশালা”। ১৬ জানুয়ারি, সকাল ১১টায় ইউনাইটেড ক্লাব পার্শ্ববর্তী ময়দানে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় সমাজ শিক্ষা ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী টিংকু রায়, চন্ডীপুর মন্ডল সভাপতি পিন্টু ঘোষ, চন্ডীপুর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান সম্পা দাস পাল, বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য বিমল কর, জেলা কমিটির সহ-সভাপতি সুশান্ত সিনহা সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের সূচনা হয় প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে। রাজ্য সরকারের মন্ত্রী টিংকু রায় সহ অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিরা প্রদীপ জ্বালিয়ে কর্মশালার শুভ উদ্বোধন করেন।
স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন চন্ডীপুর মন্ডল সভাপতি পিন্টু ঘোষ। তিনি বলেন, সংবিধান গৌরব দিবস আমাদের সংবিধানের ন্যায়, সমতা, স্বাধীনতা ও ভ্রাতৃত্বের মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে একটি বিশেষ দিন। সংবিধান আমাদের জাতীয় ঐক্যের ভিত্তি এবং গণতান্ত্রিক কাঠামোর মূল স্তম্ভ। তিনি উপস্থিত সবাইকে সংবিধানের মর্মবাণীকে আরও ভালোভাবে অনুধাবন করার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী টিংকু রায় তাঁর বক্তব্যে সংবিধান এবং কাশ্মীর সংক্রান্ত বিষয়গুলি তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ করেন, দীর্ঘদিন ধরে কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা কার্যকর ছিল, যা হিন্দু সংখ্যালঘুদের জন্য বঞ্চনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। হিন্দুরা সেখানে জমি কেনা-বেচার অধিকার থেকে বঞ্চিত হন এবং পরিস্থিতির চাপে উদ্বাস্তু হয়ে গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েন। অন্যদিকে, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানরা জমি কেনা-বেচা এবং ব্যবসা করতে সক্ষম হন। মন্ত্রী আরও বলেন, ৩৭০ ধারার ফলে কাশ্মীরের হিন্দুদের মধ্যে অনেকেই তাদের ভিটেমাটি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন।
মন্ত্রী সংবিধান রচয়িতা ডঃ ভিমরাও আম্বেদকরের অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, স্বাধীনতার পর তিনি একটি প্রগতিশীল ও সমতাভিত্তিক সংবিধান রচনা করেন। কিন্তু পূর্ববর্তী কংগ্রেস সরকার তাঁকে যথাযথ সম্মান জানাতে ব্যর্থ হয় এবং ভারতরত্ন উপাধি প্রদানেও অবহেলা করেছে।
“সংবিধান গৌরব দিবস কর্মশালা” সংবিধানের মূল আদর্শ এবং নাগরিক দায়িত্বের প্রতি মানুষকে সচেতন করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হিসেবে প্রশংসিত হয়েছে। বক্তাদের বক্তব্যে সংবিধানের গৌরব এবং এর যথাযথ প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তার প্রতি জোর দেওয়া হয়।
এই কর্মশালা সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন এবং নতুন প্রজন্মকে এর গুরুত্ব বোঝানোর একটি তাৎপর্যময় উদ্যোগ হিসেবে মনে করছেন শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ।