প্রতিনিধি অনুপম পাল, কৈলাসহর
দেশজুড়ে “বন্দে মাতরম” গানের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সারা ভারতের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ঊনকোটি জেলার হৃদয়স্থল কৈলাসহরের ঊনকোটি কলাক্ষেত্রে আজ এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই মহতি উদ্যোগের মূল আয়োজক ছিল ঊনকোটি জেলা প্রশাসন।
সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত “বন্দে মাতরম” গানটি তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস আনন্দমঠ থেকে সংগৃহীত। ১৮৭৫ সালে রচিত এই গান আজও ভারতীয় জাতীয়তাবোধ ও দেশপ্রেমের অমর প্রতীক। এই গানটির ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেশজুড়ে নানা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যারই অঙ্গ হিসাবে শুক্রবার কৈলাসহরেও উদযাপিত হলো এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত। অনুষ্ঠানের সূচনায় দিল্লি থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চুয়াল বক্তৃতা ও “বন্দে মাতরম” কর্মসূচি সরাসরি সম্প্রচারিত হয়, যা উপস্থিত অতিথি, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শতাধিক ছাত্রছাত্রী একত্রে প্রত্যক্ষ করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সমাজ শিক্ষা ও সমাজ কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়, কৈলাসহর পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন চপলা দেবরায়, ঊনকোটি জেলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস, জেলাশাসক ও সমাহর্তা ডঃ তমাল মজুমদার, মহকুমা শাসক বিপুল দাস, জেলা শিক্ষা আধিকারিক প্রশান্ত কিলিকদার প্রমূখ। অতিথিদের উত্তরীয় পরিয়ে বরণ ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। এরপর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নির্বাচিত বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ১৫০ জন ছাত্রছাত্রী একসাথে সমবেত কণ্ঠে গেয়ে ওঠেন বন্দে মাতরম— মুহূর্তে মুখরিত হয়ে ওঠে ঊনকোটি কলাক্ষেত্র। দেশপ্রেমে উজ্জ্বল সেই পরিবেশে উপস্থিত প্রত্যেকের চোখে ছিল গর্ব ও আবেগের ছাপ। অনুষ্ঠানের শেষপর্বে নেতাজি ইংরেজী মাধ্যম স্কুলের ছাত্রীরা দেশাত্মবোধক সুরে এক মনোজ্ঞ নৃত্য পরিবেশন করে, যা উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করে তোলে। এইভাবে ঐতিহাসিক গান বন্দে মাতরমের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কৈলাসহরের বুকে এক অনন্য দেশাত্মবোধক পরিবেশের সৃষ্টি হয়— যা নতুন প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতার চেতনাকে আরও উজ্জীবিত করে তোলে।