
oplus_2
প্রতিনিধি অনুপম পাল, কৈলাসহর
“নাটক হলো সমাজের দর্পণ”—এই বার্তাকেই কেন্দ্রবিন্দু করে ঊনকোটি জেলার কৈলাসহরে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ভীষ্মদেব স্মৃতি ছোটদের নাটক প্রতিযোগিতা। আজ জেলা সদর কৈলাসহরের ঊনকোটি কলাক্ষেত্রে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত হয় এই জেলাভিত্তিক নাট্য প্রতিযোগিতা।
প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন কৈলাসহর পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন চপলা দেবরায়। উপস্থিত ছিলেন পুর পরিষদের ভাইস চেয়ারপার্সন নীতিশ দে, কাউন্সিলর মানসী ভট্টাচার্য, জেলা শিক্ষা আধিকারিক প্রশান্ত কিলিকদার, সমাজসেবী বিমল কর, শ্যামল দাস সহ দপ্তরের অন্যান্য আধিকারিকরা।
অনুষ্ঠানে জেলার নাট্যচর্চার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত তিনজন বিশিষ্ট নাট্যকার জহর ভট্টাচার্য, কাজল চক্রবর্তী ও মৃদুল বণিককে সংবর্ধিত করা হয়। একই সঙ্গে ৮ জন নাট্য নির্দেশককেও বিশেষভাবে সম্মানিত করা হয় তাঁদের অবদানের জন্য।
দিনব্যাপী প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় মোট ৮টি নাট্যদল। মঞ্চে একে একে প্রাণবন্ত নাটক পরিবেশন করেন বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। তাদের পরিবেশিত নাটকগুলো ছিল—শ্রীরামপুর স্কুলের—জার্নি বিগেইন্স, শিশু নিকেতন স্কুলের—আর্থ ফাস্ট অলওয়েজ, পাবিয়াছড়া স্কুলের—প্রত্যাশা, আরকেআই স্কুলের—রঙিন পর্দার ফাঁদ, নির্ঘোষ নিক্বণ এর—ছুটি, ভগিনী নিবেদিতা স্কুলের—চক্রব্যূহ এবং রামকৃষ্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের—পেটে ও পিঠে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে চপলা দেবরায় বলেন, “নাটক সমাজের আয়না হিসেবে কাজ করে। নাটকের মাধ্যমে আমরা সমাজের বিভিন্ন অসঙ্গতি, বাস্তবতা এবং সচেতনতার বার্তা খুব সহজেই মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারি। বর্তমান সরকার রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি সুস্থ সাংস্কৃতিক পরিবেশ গড়ে তোলার দিকে নজর দিচ্ছে।”
অনুষ্ঠানের সূচনায় বিশিষ্ট অতিথিরা ভীষ্মদেবের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান।