
প্রতিনিধি অনুপম পাল। কৈলাসহর
কদমতলা ব্লকাধীন কালাগাঙ্গের পার গ্রাম পঞ্চায়েতে সোমবার অনুষ্ঠিত হলো বহু প্রতীক্ষিত প্রধান ও উপপ্রধান নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পর্ব। এক সদস্যের সদস্যপদ বাতিল হওয়ার পর বিজেপি ও সিপিএম – উভয় দলের সদস্য সংখ্যা সমান ৬-৬ হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে এই পঞ্চায়েত কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। অবশেষে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সোমবার এই অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে ভোট গ্রহণের দিন নির্ধারিত হয়।
বেলা বারোটা নাগাদ পঞ্চায়েত অফিসে উপস্থিত প্রিসাইডিং অফিসার হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। দুই দলের পক্ষ থেকেই প্রধান ও উপপ্রধান পদের জন্য পৃথকভাবে নাম প্রস্তাব করা হয়। যেহেতু উভয় দলের আসন সংখ্যা সমান, প্রশাসনিক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে সম্মতিতে টসের মাধ্যমে বিজয়ী নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কিন্তু ট্রসের ফলাফল নিয়েই শুরু হয় জটিলতা। সিপিএমের দাবি অনুযায়ী তারা টসে জয়লাভ করেছে, অপরদিকে বিজেপিও নিজেদের জয়ী দাবি করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পঞ্চায়েত চত্বরে মুহূর্তের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আগে থেকেই মোতায়েন ছিল প্রচুর সংখ্যক পুলিশ, টিএসআর ও সিআরপিএফ বাহিনী। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কমল দেববর্মা, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক বি. জেরিনপুই এবং কদমতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়ন্ত দেবনাথ।
পঞ্চায়েত চত্বরের বাইরেও দুই দলের শতাধিক কর্মী ও সমর্থক উপস্থিত ছিলেন। তবে প্রশাসনের কঠোর তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়। পরবর্তীতে প্রিসাইডিং অফিসার হেলাল উদ্দিন আনুষ্ঠানিকভাবে সিপিএম সমর্থিত প্রার্থী মমতা বেগমকে পঞ্চায়েত প্রধান এবং আব্দুল বাছিতকে উপপ্রধান হিসেবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন এবং তাঁদের শপথ বাক্য পাঠ করান।
এই ফলাফলে সিপিএম শিবিরে উৎসাহের সঞ্চার হলেও, বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা যায়। প্রশাসনের তরফ থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে এবং যে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।