আগরতলা,নিজস্ব প্রতিনিধি, ত্রিপুরার বিমান পরিষেবার মানোন্নয়নে উদ্যোগী রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবার আগরতলার এমবিবি বিমানবন্দরে অনুষ্ঠিত হলো এয়ারপোর্ট এডভাইজারি কমিটির বৈঠক। বৈঠকে পৌরহিত্য করেন পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব।
সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব বৈঠকে বলেন, “প্রত্যেক ছয় মাস অন্তর এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বিমানবন্দরের সমস্যা এবং সুযোগ-সুবিধা নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। যেসব সমস্যা স্থানীয় পর্যায়ে সমাধান করা সম্ভব সেগুলি রাজ্য সরকারের মাধ্যমে সমাধান করা হয়। আর যেগুলি কেন্দ্রীয় বিষয়, সেগুলি ভারত সরকারের সাথে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করা হয়।”
বৈঠকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়। ১)আগরতলা থেকে দিল্লি সরাসরি বিমান পরিষেবা বৃদ্ধির জন্য এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের সাথে আলোচনা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দিল্লি থেকে আগরতলা রুটে একটি মাত্র সরাসরি বিমান চলছে। বৈঠকে আরও একটি সরাসরি বিমান চালুর প্রস্তাব রাখা হয়। ২)আগরতলা থেকে আইজল এবং শিলং রুটে বিমান পরিষেবা পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।৩)বিমানবন্দরে লাইটিং বাড়ানো, যাত্রীদের জন্য আরও সুযোগ-সুবিধা প্রদান এবং কম খরচে স্টল বরাদ্দের বিষয়েও আলোচনা হয়।
বৈঠকে সাংসদ জানান, এমবিবি বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলের পরিকাঠামো প্রস্তুত রয়েছে। তবে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল থাকায়, দেশটির সাথে চলমান প্রকল্পগুলি আটকে আছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বাংলাদেশে বিমান পরিষেবা চালু হবে। অন্যদিকে, অন্যান্য দেশের সাথে সংযোগ স্থাপনে ভারত সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষা করা হচ্ছে।
সাংসদ বিপ্লব দেব জানান, এমবিবি বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের করা হয়েছে। এর ফলে রাজ্য থেকে বিদেশে বিমান চলাচলের সমস্ত সুযোগ তৈরি হয়েছে। তবে আরও উন্নতির লক্ষ্যে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার একসঙ্গে কাজ করছে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এয়ারপোর্ট অথরিটির ডিরেক্টর, পশ্চিম ত্রিপুরার জেলা শাসক ড. বিশাল কুমার, বিধায়ক ভগবান দাস, প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণধন দাস, এবং বিমানবন্দরের বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিক ও স্টেকহোল্ডাররা।
বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলি রাজ্যের বিমান পরিষেবা এবং পরিকাঠামো উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্ট মহল।