
oplus_0
প্রতিনিধি অনুপম পাল, কৈলাসহর
আজ পবিত্র ঈদুজ্জোহা। এই উপলক্ষে সকালে টিলা বাজার জামে মসজিদের ঈদগাহ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় ঈদের প্রধান জামাত। সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসলমান একত্রিত হয়ে আদায় করেন ঈদের নামাজ। নামাজ পরিচালনা করেন বিশিষ্ট আলেম মৌলানা শাহনাহাজ হুসেন। ঈদের এ জামাত ছিল শান্তি, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির এক অনন্য উদাহরণ।একই সময়ে বাবুর বাজারে ঈদের জামাত পরিচালনা করেন মৌলানা হাবিল আহমেদ। এছাড়াও পশ্চিম বাজার জামে মসজিদ, রাঙ্গাউটি মসজিদ, ইরানি মসজিদ ও গৌরনগর মসজিদে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি ঈদের নামাজে অংশগ্রহণ করেন। সব ক্ষেত্রেই লক্ষ্য করা গেছে ধর্মীয় সৌহার্দ্য ও উৎসবের আনন্দময় পরিবেশ।ঈদের আনন্দকে কেন্দ্র করে টিলা বাজারে বসে ঐতিহ্যবাহী ঈদ মেলা। সকাল থেকেই শিশু-কিশোর, নারী-পুরুষ সহ সব বয়সী মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। ঈদের বাজারে বেচাকেনায় সন্তোষ প্রকাশ করেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও।
গৌরনগর পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান বদরুজ্জামান ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “ঈদ মানেই শান্তি, সহানুভূতি ও ভ্রাতৃত্বের বার্তা। আজকের দিনে আমরা সকলে মিলে সমাজে সম্প্রীতির আলো ছড়িয়ে দিই, এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।”
রাজ্যের প্রবীণ সাংবাদিক তথা কৈলাসহর প্রেস ক্লাবের সভাপতি জামাল উদ্দিন বলেন, “ঈদ কেবল ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি সামাজিক সংহতির একটি বড় উদাহরণ। ধনী-গরিব সকলেই এক কাতারে এসে নামাজ আদায় করেন—এটাই ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য।”
রাজ্য বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন লাবলু জানান, “এই উৎসব শান্তি ও সম্প্রীতির প্রতীক হয়ে উঠুক।” ঈদের নামাজ শেষে তিনি পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্তদের মাঝে ঠান্ডা পানীয় ও জল বিতরণ করেন।
ঈদ উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল আঁটসাঁট। ইরানি থানার ওসি অরুণদয় দাস জানান, “সকাল থেকেই শহরজুড়ে বাড়তি নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।”
স্থানীয়রা বলেন,আজকের এই ঈদ ছিল শুধু ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং একটি সামাজিক মিলনের দিন। টিলা বাজার ও আশপাশের এলাকার মানুষ শান্তিপূর্ণ ও হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে ঈদ উদযাপন করেছেন। এই সম্প্রীতির আবহ যেন বছরের প্রতিটি দিনে বজায় থাকে।