
Oplus_131072
প্রতিনিধি অনুপম পাল
কৈলাসহর,ঊনকোটি ত্রিপুরা
গত বছরের ১৬ অক্টোবর কৈলাসহরের যুবরাজনগর জামে মসজিদে অগ্নিসংযোগ এবং পরবর্তী সময়ে হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর ও সাম্প্রদায়িক উস্কানির ঘটনায় মূল অভিযুক্ত জুবের আহমেদ (শিমু) এখনও গ্রেফতার হয়নি। জানা গেছে, অভিযুক্ত প্রায়ই ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় এবং পুলিশি তৎপরতা কমলেই দেশে ফিরে আসে।
জুবের আহমেদ(শিমু) গৌরনগর আরডি ব্লকের মাগুরুলি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে মামলা থাকা সত্ত্বেও, তাকে প্রকাশ্যে চলাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে। এলাকাবাসীদের দাবি, অভিযুক্ত পুনরায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা উসকে দিতে পারে।
গত বছরের অক্টোবর মাসের ঘটনার সময় কৈলাসহরের বিভিন্ন এলাকায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছিল। মসজিদে অগ্নিসংযোগের পর বাবুরবাজারের এক কালীবাড়িতে ভাঙচুরের চেষ্টা হয়। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়েছিল যে, বিধায়ক বীরজিৎ সিনহা এবং গৌরনগর পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান বদরুজ্জামান স্বতঃস্ফূর্তভাবে এলাকায় পাহারা দিয়ে শান্তি বজায় রাখার চেষ্টা করেছিলেন।
পরবর্তীতে ইরানি থানার উদ্যোগে শান্তি বৈঠক আয়োজনের মাধ্যমে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। কিন্তু মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা না হওয়ায় এলাকায় আবারও উত্তেজনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, অভিযুক্ত শিমু রাজ্যের রাজধানী আগরতলা এবং ইরানি বাজারে প্রকাশ্যে চলাফেরা করলেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে না। এই ঘটনায় এলাকার মানুষজন আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। তাদের মতে, অভিযুক্তের উস্কানিমূলক কার্যকলাপ কৈলাসহরের শান্তি ও সম্প্রীতিকে আবারও হুমকির মুখে ফেলতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কিছু এলাকাবাসীর দাবী প্রশাসন যেন এই অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতার করে। তাদের মতে, অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা উচিত। এছাড়া, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশকে আরও তৎপর হতে হবে।
কৈলাসহরের মতো একটি শান্তিপূর্ণ এলাকায় সাম্প্রদায়িক অশান্তির ছায়া দূর করতে হলে, প্রশাসন ও জনগণের একযোগে কাজ করা জরুরি। ভবিষ্যতে এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।