প্রতিনিধি অনুপম পাল, নেশার বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টি এবং কর্মসংস্থান ও আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে আজ রাজ্যব্যাপী আন্দোলনের অংশ হিসাবে সিপিআই(এম) ছাত্র-যুবরা কৈলাসহর শহরে এক বিশাল পদযাত্রার আয়োজন করে। পদযাত্রাটি কৈলাসহর প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন রাস্তা পরিক্রমা করে চিরাকুটিতে এক সমাবেশে মিলিত হয়।
এই পদযাত্রা ও সমাবেশে নেতৃত্ব দেন সিপিআইএম-এর উনাকোটি জেলা সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী, মহকুমা সম্পাদক অঞ্জন রায়, ডি ওয়াই এফ আই-এর রাজ্য সম্পাদক নবারুণ দেব, রাজ্য সভাপতি পলাশ ভৌমিক, মহকুমা সম্পাদক বিশু দাস, এবং এসএফআইয়ের বিভাগীয় সম্পাদক সাগর ভট্টাচার্য্য। তাদের সঙ্গে স্থানীয় নেতৃত্ব এবং বিপুল সংখ্যক ছাত্র-যুব অংশগ্রহণ করেন।
সমাবেশে ছাত্র-যুব নেতৃত্বরা তাদের বক্তব্যে ত্রিপুরার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা অভিযোগ করেন যে, বর্তমান সরকার মাদক সমস্যার বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে এবং যুব সমাজ নেশার ছোবলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। সেইসঙ্গে, তারা কর্মসংস্থানের অভাব এবং রাজ্যে আইনের শাসনের অবনতির বিষয়েও সরকারকে দায়ী করেন।
ডি ওয়াই এফ আই-এর রাজ্য সম্পাদক নবারুণ দেব বলেন, “বর্তমান সরকার মাদক চক্র ভাঙতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। আমরা চাই মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ এবং যুবসমাজের জন্য পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ।”
রাজ্য সভাপতি পলাশ ভৌমিক বলেন, “ত্রিপুরায় আইনের শাসন বলতে কিছু নেই। নেশা, বেকারত্ব, এবং দুর্নীতির কারণে রাজ্যের যুব সমাজ পথভ্রষ্ট হচ্ছে। এই পরিস্থিতি আর চলতে দেওয়া যায় না।”
পদযাত্রায় সহস্রাধিক ছাত্র-যুব অংশগ্রহণ করেন। লাল পতাকায় সজ্জিত এই বিশাল জনসমাবেশ পুরো কৈলাসহর শহরে এক আন্দোলনের বার্তা ছড়িয়ে দেয়। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে সাধারণ মানুষের মধ্যেও এই পদযাত্রা এবং সমাবেশ নিয়ে চর্চা শোনা যায়।
চিরাকুটি সমাবেশ থেকে নেতৃত্বরা ঘোষণা দেন যে, যদি সরকার দ্রুত মাদকবিরোধী কার্যক্রম এবং যুব সমাজের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, তবে আন্দোলন আরও জোরদার হবে।
এই পদযাত্রা এবং সমাবেশের মাধ্যমে সিপিআই(এম) ছাত্র-যুবরা তাদের শক্তি প্রদর্শন করল এবং রাজ্যের জনগণের সামনে তাদের দাবিগুলি তুলে ধরল। এখন দেখার বিষয়, সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়।