কৈলাসহর,প্রতিনিধি অনুপম পাল,কৈলাসহরের মকর সংক্রান্তি এবং মহাকুম্ভকে সামনে রেখে বিজেপি ৫৩ বিধানসভা মন্ডলের মহিলা মোর্চার উদ্যোগে আয়োজিত হলো এক অনন্য পিঠে পুলি উৎসব। শহর উত্তরাঞ্চলের খাওরাবিল এলাকার বিজেপির প্রাক্তন বুথ সভাপতি ইন্দ্রজিৎ নমঃ এর বাসভবনে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। মূলত সংগঠনকে আরও শক্তিশালী ও গ্রামীণ সংস্কৃতিকে জীবিত রাখতেই এই বিশেষ আয়োজন বলে জানান উদ্যোক্তারা।
মহিলা মোর্চার নেত্রীরা জানান, এই উৎসব কোনো আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজন নয়, বরং মাটির কাছাকাছি থেকে গ্রামীণ মানুষের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার একটি প্রয়াস। সকাল থেকেই গ্রামের মহিলারা চালের গুঁড়ো, খেজুরের গুড়, ও নারকেল দিয়ে পিঠে তৈরিতে ব্যস্ত ছিলেন। তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দুধপুলি, ভাপা পিঠে, এবং চিতই পিঠে তৈরিতে অংশ নেন নেত্রীরা। উৎসবের আনন্দ বাড়িয়ে তোলার জন্য পিঠে পুলির পাশাপাশি আয়োজন করা হয় কীর্তনের।
উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ ছিল গৃহস্থ বাড়ির উঠোন এবং দেওয়ালে আলপনা আঁকার কাজ। উপস্থিত মহিলারা ঐতিহ্যবাহী এই শিল্পকর্মের মাধ্যমে গ্রামের পরিবেশকে আরও রঙিন করে তোলেন।
গ্রামের ষাটোর্ধ্ব এক প্রবীণ বলেন, “পিঠে পুলি আমাদের শেকড়ের সঙ্গে যুক্ত রাখে। নতুন প্রজন্ম যেন এই ঐতিহ্য ধরে রাখে, সেটাই চাই।” তিনি এই উদ্যোগের জন্য মন্ডল সভাপতি প্রীতম ঘোষকে ধন্যবাদ জানান। তিনি এও বলেন, “এই উৎসব শুধু খাওয়া-দাওয়ার নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতির পরিচয় বহন করে। একে ধরে রাখা আমাদের দায়িত্ব।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি ৫৩ বিধানসভার মন্ডল সভাপতি প্রীতম ঘোষ, রাজ্য কমিটির সদস্য নীতিশ দে, মহিলা মোর্চার নেত্রীরা, এবং অন্যান্য দলীয় কর্মীরা।
এই আয়োজনের মাধ্যমে গ্রামীণ ঐতিহ্যকে জীবিত রাখা এবং সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করার প্রচেষ্টা স্পষ্ট। স্থানীয় মানুষের অংশগ্রহণ এবং সক্রিয় সমর্থন প্রমাণ করে যে এই ধরনের উদ্যোগ ঐতিহ্য রক্ষার পাশাপাশি সামাজিক সংহতি গড়তে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
বিজেপি মহিলা মোর্চার এই পিঠে পুলি উৎসব শুধুমাত্র সাংগঠনিক প্রচেষ্টা নয়, এটি একটি ঐতিহ্যের পুনরুজ্জীবন। এই ধরনের উদ্যোগ গ্রামীণ সংস্কৃতিকে নতুন প্রজন্মের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক বন্ধন দৃঢ় করতে সাহায্য করবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সহ শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ।