
কৈলাসহর,প্রতিনিধি অনুপম পাল,অভিভাবকহীন কৈলাসহর কি পাচ্ছে শাসক দলের জেলা সভাপতি,এ নিয়েই এখন শহর জুড়ে চলছে জোর জল্পনা।
কৈলাসহর ৫৩ বিধানসভা কেন্দ্র বরাবরের মতই উল্টো স্রোতে চলছে। তবে ২০১৮ থেকে ২০২৩ অনভিজ্ঞ শাসক দলের নেতৃত্ব ও গোষ্ঠী কোন্দলের কারনে বর্তমান শাসক দল এখন পর্যন্ত ৫৩ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ের মুখ দেখতে পারেনি।
স্থানীয় রাজনৈতিক অভিজ্ঞদের মতে,৫৩ বিধানসভা এলাকায় রাজ্যের বিজেপি হাইকমান্ড মহকুমা সদরের বাইরে জেলা সভাপতির দায়িত্ব তুলে দেওয়ায় ২০২৩ এ বিধানসভার পাশাপাশি গৌরনগর ব্লক এলাকায় গ্রামীণ ভোটেও আশানুরূপ ফলাফল করতে পারেনি।
স্থানীয় এক বিজেপি কর্মী বলেন, “আমরা ২০১৮ এর আগে সিপিআই(এম) এর রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে দলের ঝান্ডা নিয়ে বাড়ি বাড়ি জন সম্পর্ক করেছি,তখন আমাদের বহু আক্রমণের শিকার হতে হয়েছে। কিন্তু সরকার আসতেই আমরার খোঁজ আর কেউ নেয়না!যাকে খুশি তাকেই ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে সংগঠনের দায়িত্ব,যার ফলে সংগঠন নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। বর্তমানে দলটাকে ঘিরে রয়েছে সিপিআই(এম) থেকে আসা কিছু লাল বাহিনী। আর নেতাদের সাথে হাত করে দায়িত্ব বাগিয়ে নিয়েছে তারা। যার ফলে পুরোনো বিজেপি কর্মী সমর্থকরা তাদের পছন্দ করছেনা। আর তাই সংগঠনকে শক্তিশালী করতে পারছেনা দল। এই অবস্থা চলতে থাকলে কৈলাসহর থেকে কখনো জয়ের মুখ দেখবেনা দল।
তবে তিনি আশাব্যক্ত করেন বর্তমানে মন্ডল সভাপতির চয়নে দল ৩৫-৪৫ বছর বয়সীদের দেওয়ায় কিছুটা সংগঠন চাঙ্গা হবে। এই অবস্থায় ঊনকোটি জেলার পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৫০ বিধানসভা এলাকায় যেমন বিধায়ক রয়েছেন তেমনি ৫১,৫২ ও ৫৯ নং বিধানসভা এলাকায় রাজ্য সরকারের তিন মন্ত্রী রয়েছেন। তাই জেলা সভাপতি চয়ন যদি কৈলাসহর ৫৩ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে না হয়,তবে সাংগঠনিক শক্তি অর্জনতো দুরের কথা আগামী নির্বাচনে অন্তত কৈলাসহরে দলের কোনো অস্থিত থাকবেনা।
তবে বিজেপি দলের অন্দরমহল সুত্রের খবর,ঊনকোটি জেলার জেলা সভাপতির দৌড়ে রয়েছেন, ঊনকোটি জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অরুণ সাহা,পার্শ্ববর্তী চন্ডীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য বিমল কর,পাবিয়াছড়া বিধানসভা কেন্দ্রের যুব মোর্চার প্রাক্তন সভাপতি দীপঙ্কর গোস্বামী এবং ফটিকরায় বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপির একসময়ের বিস্তারক জয়দ্বীপ মালাকার।
তবে দেশব্যাপী বিজেপি যেভাবে সংঘ ঘনিষ্ঠদের দলের দায়িত্ব দিচ্ছে তাতে শেষ মুহূর্তে কার নাম ঊনকোটি জেলা সভাপতির জন্য ঘোষণা হয় সেটাই এখন দেখার বিষয়। তবে চায়ের দোকান থেকে মোদি দোকান সর্বত্রই এখন একটাই চর্চা অভিভাবকহীন কৈলাসহর কি পাচ্ছে শাসক দলের জেলা সভাপতি?