আগরতলা,নিজস্ব প্রতিনিধি,দেশের অন্যান্য রাজ্যের মতোই ত্রিপুরাতেও শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হলো বীর বালক দিবস। শিখদের দশম গুরু গোবিন্দ সিংয়ের দুই পুত্র সাহেবজাদা জোরাওয়ার সিং (৫) এবং ফতেহ সিং (৮) ধর্মান্তকরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে মোঘলদের হাতে শহীদ হয়েছিলেন। তাঁদের স্মরণেই কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে ২৬ ডিসেম্বর দিনটি ‘বীর বাল দিবস’ হিসেবে পালিত হচ্ছে।
আজ প্রদেশ বিজেপি কার্যালয়ে শহীদ বীর বালক দিবস উদযাপন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি রাজ্য সহ-সভাপতি ও বিধায়ক ভগবান দাস, সাধারণ সম্পাদক তাপস মজুমদার, এবং মহিলা মোর্চার সভানেত্রী মিমি মজুমদার। শহীদ সাহেবজাদাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে তাঁদের অসীম সাহসিকতা ও আত্মত্যাগের কথা তুলে ধরেন ভগবান দাস। তিনি বলেন, “ধর্মান্তকরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে তাঁদের বলিদান আজও সমগ্র দেশের জন্য অনুপ্রেরণা।”
শিখদের দশম গুরু গোবিন্দ সিং ছিলেন একাধারে নেতা, যোদ্ধা, কবি ও দার্শনিক। তাঁর চার পুত্র—অজিত সিং, জুঝর সিং, জোরাওয়ার সিং এবং ফতেহ সিং—দেশ ও ধর্মের জন্য অসাধারণ সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। মোঘল শাসকদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাঁর পুত্রদের আত্মত্যাগ ভারতীয় ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত ৯ জানুয়ারি ঘোষণা করেছিলেন, গুরু গোবিন্দ সিংয়ের পুত্রদের বীরত্ব এবং আত্মত্যাগের স্মরণে ২৬ ডিসেম্বর দিনটি ‘বীর বাল দিবস’ হিসেবে পালিত হবে। সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবে রাজ্যে বিজেপির উদ্যোগে এই দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়।
অনুষ্ঠানে ভগবান দাস বলেন, “সাহেবজাদাদের আত্মত্যাগ আমাদের শিখিয়ে দেয় ধর্ম, ন্যায় এবং আদর্শের জন্য লড়াই করতে। তাঁদের স্মৃতি আমাদের কাছে চিরস্মরণীয়।” অনুষ্ঠানে ফুল দিয়ে তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় এবং তাঁদের বীরত্বগাথার কথা তুলে ধরা হয়।
বীর বালক দিবস উদযাপনের মধ্য দিয়ে দেশপ্রেম, নৈতিকতা এবং আত্মত্যাগের মূল্যবোধ তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা।