আগরতলা নিজস্ব প্রতিনিধি,বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও ভারতরত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ীর ১০০তম জন্মবার্ষিকী। এই দিনটিকে কেন্দ্রীয় সরকার সুশাসন দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং দেশজুড়ে নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। তবে ত্রিপুরায় একটি বিশেষ ঘটনা কেন্দ্র করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
রাজ্যের একমাত্র আঞ্চলিক ক্যান্সার হাসপাতাল, যা প্রয়াত অটল বিহারী বাজপেয়ীর নামে উৎসর্গ করা হয়েছে, সেখানে তাঁর মূর্তিটিকে অযত্ন এবং অবহেলার চিহ্ন হিসেবে দেখা গেছে। ২০১৯ সালে উদ্বোধনের সময় এই মূর্তিটি হাসপাতালের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছিল, কিন্তু অটল জীর ১০০তম জন্মদিনে মূর্তিটিকে পরিষ্কার করা তো দূরের কথা, একটি ফুলও অর্পণ করা হয়নি।
সেদিন বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি ও বিধায়ক সুশান্ত দেব রোগীদের মধ্যে ফল-মিষ্টি বিতরণ করতে উপস্থিত ছিলেন। তবে তাঁরা অটল জীর মূর্তির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের প্রয়োজনীয়তাও অনুভব করেননি। এই উপেক্ষা শুধু বিজেপির অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থার ঘাটতির ইঙ্গিত দেয় না, বরং এই ধরনের অবহেলা মানুষকে ভাবতে বাধ্য করে, এত আয়োজন শুধুই কি আনুষ্ঠানিকতা?
হাসপাতালের রোগী, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে এই ঘটনা নিয়ে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। তাঁদের মতে, এ ধরনের অবহেলা কেবল অজ্ঞতার পরিচায়ক নয়, এটি অটল জীর মতো মহান ব্যক্তিত্বের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা প্রদর্শনে ব্যর্থতার উদাহরণ।
বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠেছে, এই ধরনের ঘটনা এড়ানোর জন্য ভবিষ্যতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। শুধু আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি নয়, প্রকৃত শ্রদ্ধা দেখানোর মধ্য দিয়েই অটল বিহারী বাজপেয়ীর মতো ব্যক্তিত্বের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা সম্ভব।
অটল জী সারাজীবন সুশাসন ও নৈতিকতার পক্ষে ছিলেন। তাঁর মর্মর মূর্তি যদি যথাযথ যত্ন না পায়, তবে তা শুধু তাঁর প্রতি অশ্রদ্ধা নয়, রাজ্যের সাধারণ মানুষের মনেও নেতিবাচক বার্তা প্রেরণ করে। সচেতন মহলের আশা, ভবিষ্যতে এমন গাফিলতির পুনরাবৃত্তি হবে না।