
বিশেষ প্রতিনিধি,বড়দিনের উৎসবের মাঝেই শোকের ছায়া নামাল এক ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনা। বুধবার কাজাখস্তানের আকতাউ শহরের কাছে একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বিমানে শতাধিক যাত্রী ছিলেন বলে জানা গেছে। দেশটির জরুরি পরিষেবা বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে।
বিমানটি আকতাউ শহরের নিকটবর্তী এলাকায় অবতরণের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, কিছু যাত্রীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে মৃত এবং আহতের সঠিক সংখ্যা এখনও নিশ্চিত নয়। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, জরুরি পরিষেবা বিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজে ব্যস্ত। পাশাপাশি, বেঁচে থাকা যাত্রীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
কাজাখস্তানের পরিবহন ও জরুরি পরিষেবা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। তারা জানিয়েছে, দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বিমানটি কোন পরিস্থিতিতে এবং কী কারণে দুর্ঘটনার শিকার হলো, তা স্পষ্ট করতে ব্ল্যাক বক্স খোঁজার চেষ্টা চলছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুর্ঘটনার ভয়াবহ দৃশ্যের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওগুলোতে দেখা গেছে, দুর্ঘটনাস্থল থেকে কালো ধোঁয়া উঠছে এবং আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তারা বিকট শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সেখানে বিমানের ধ্বংসাবশেষের মধ্যে আহত যাত্রীদের আর্তনাদ শুনতে পাওয়া যায়।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কাজাখস্তানের এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় সমবেদনা জানানো হয়েছে। উদ্ধারকাজে সহায়তার জন্য পাশের দেশগুলোর মধ্যে থেকে কিছু জরুরি সেবা দল প্রস্তুত রয়েছে বলে জানা গেছে।
জরুরি পরিষেবা বিভাগের মতে, উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, খারাপ আবহাওয়া বা যান্ত্রিক ত্রুটি এই দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। তবে, চূড়ান্ত তথ্য ব্ল্যাক বক্স পরীক্ষার পরেই জানা যাবে।
বড়দিনের আনন্দ যেখানে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে, সেখানে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা কাজাখস্তানের মানুষকে শোকস্তব্ধ করেছে। দুর্ঘটনার শিকার যাত্রীদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে জাতীয় শোক ঘোষণা করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
এই মর্মান্তিক ঘটনায় আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলের নিরাপত্তা নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে। সবার একটাই প্রার্থনা— আহত যাত্রীদের দ্রুত আরোগ্য এবং নিহতদের আত্মার শান্তি।