কৈলাসহর প্রতিনিধি অনুপম পাল,কৈলাসহরের বর্তমান মহকুমা শাসকের কার্যালয় স্থানান্তর এবং নতুন ভবন নির্মাণের কাজকে ঘিরে আশার আলো দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় থাকা বর্তমান কার্যালয়টির পরিবর্তে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন একটি নতুন কার্যালয় নির্মাণের জন্য রাজ্য সরকার আট কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।
ইতিমধ্যে নির্মাণ কাজের টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থা শীঘ্রই কাজ শুরু করবে। জানা গেছে, এই নতুন ভবনটি দ্বিতল হবে এবং একই ছাদের নিচে সমস্ত ধরনের প্রশাসনিক পরিষেবা পাওয়া যাবে।
বর্তমান মহকুমা শাসকের কার্যালয়টি বহু পুরানো এবং এতে বিভিন্ন দিক থেকে ফাটল দেখা দিয়েছে। বিশেষত বর্ষাকালে টিনের ছাউনির কারণে কার্যালয়ের বিভিন্ন অংশে জল ঢুকে কাজের ব্যাঘাত ঘটছে। অন্যদিকে, নির্বাচনকালীন সময়ে আরকেআই বিদ্যালয়কে নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং গণনার জন্য ব্যবহার করতে হয়, যা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
নতুন কার্যালয় নির্মাণ হলে এই সমস্যার সমাধান হবে। ভবনের অভ্যন্তরেই একটি নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং গণনার কেন্দ্র তৈরি করা হবে, যা প্রশাসনের কাজকে আরও সহজ এবং কার্যকরী করবে।
নতুন ভবন নির্মাণের সময় অস্থায়ীভাবে পুর পরিষদের বৌলাপাশায় অবস্থিত নৈশ যাপন কেন্দ্রকে মহকুমা শাসকের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা হবে। মহকুমা শাসক প্রদীপ সরকার জানিয়েছেন যে, অস্থায়ী কার্যালয়টি মূল কার্যালয় থেকে বেশি দূরে নয় এবং নাগরিকদের যাতে কোনো অসুবিধা না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য নজরদারি চালানো হবে।
কৈলাসহর রাজ্যের প্রথম মহকুমা সদর। অতীতে এখান থেকেই লংতরাইভ্যালী ও কুমারঘাটের প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালিত হত। বর্তমান ভবনটির ঐতিহ্য থাকা সত্ত্বেও এটি সময়ের সাথে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। নতুন ভবন নির্মাণের মাধ্যমে আধুনিক সুবিধা ও উন্নত প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করার পদক্ষেপটি প্রশংসিত হয়েছে মহকুমাবাসীর কাছে।
নাগরিকদের একাংশ মনে করছেন, নতুন ভবনটি নির্মিত হলে প্রশাসনিক কার্যক্রমে গতি আসবে এবং সাধারণ মানুষের জন্য আরও সহজলভ্য পরিষেবা নিশ্চিত করা যাবে।
নির্মাণ প্রকল্পটি সফলভাবে সম্পন্ন হলে, এটি কৈলাসহরের প্রশাসনিক ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে এবং নাগরিক সেবা প্রদানে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।