কৈলাসহর প্রতিনিধি চারুকৃষ্ণ কর,শীতের আমেজের সাথে বড়দিনের উৎসবের উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছে কৈলাশহর সহ গোটা খ্রিস্টান সম্প্রদায়। ২৫ ডিসেম্বর প্রভু যীশুর জন্মতিথি উপলক্ষে শুরু হবে সাত দিনব্যাপী বড়দিনের উদযাপন। যদিও এটি মূলত খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের উৎসব, তবে এর আনন্দ এখন সমস্ত সম্প্রদায়ের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে।
বড়দিনের প্রধান আকর্ষণ কেক, ক্রিসমাস ট্রি ও রঙিন আলোকসজ্জা। বাঙালি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ সমানভাবে এই আনন্দে সামিল হয়। উপজাতি অধ্যুষিত এলাকা যেমন দেওরাছড়া, চিনি বাগান, মুরই, গোলকপুর, জামতৈলবাড়ি, এবং নেপাল টিলায় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষরা উৎসবের কেনাকাটায় ব্যস্ত।
অর্থনৈতিক সামর্থ্যের মধ্যেই তারা ক্রিসমাস উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এলাকা ভিত্তিক চার্চগুলো তাদের নিজস্ব তহবিলের অর্থে সাজানো হয়েছে।
বড়দিনের মূল অনুষ্ঠান শুরু হবে ২৪ ডিসেম্বর রাতে। চার্চে বিশেষ প্রার্থনার মাধ্যমে প্রভু যীশুর শান্তির বাণী ছড়িয়ে দেওয়া হবে। এই উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা চলবে ১লা জানুয়ারি পর্যন্ত। এ সময় চার্চে আয়োজন করা হবে প্রার্থনা সভা, সংগীত, এবং বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের।
এই উৎসবে শুধু খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ নয়, অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরাও অংশ নেন। প্রতিবছরের মতো এবারও কৈলাশহর শহরে বড়দিনের উৎসব এক সম্প্রীতির মেলবন্ধন তৈরি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরক্ষা দপ্তরের কর্মী এল দারলং জানিয়েছেন, বড়দিন শুধু একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি আনন্দ ও মিলনের উৎসব। শহরের উপজাতি ও বাঙালি সম্প্রদায়ের মানুষ একত্রিত হয়ে এই সময়টি উদযাপন করেন।
বড়দিনের উদযাপন শান্তি, ভালোবাসা, ও সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে আসে। এই উৎসব কৈলাশহরকে উৎসবের রঙে রাঙিয়ে তোলে, যা প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে খ্রিস্টমাসের আনন্দের সুর বেঁধে দেয়।