প্রতিনিধি অনুপম পাল, কৈলাসহর
টিলাবাজারে ঠিকাদারি কাজকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের চব্বিশ ঘণ্টা পরও এলাকা থমথমে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার ঘটনার পর এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে না পারায় স্থানীয়দের ক্ষোভ আরও বেড়েছে। বাজারজুড়ে আতঙ্ক ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জীতেন্দ্র চৌধুরী। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত দোকানপাট ঘুরে দেখেন এবং ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পুরো ঘটনার বিবরণ শোনেন। ব্যবসায়ীরা জানান, হঠাৎ গণ্ডগোল শুরু হলে তাঁরা দোকান ফেলে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও তাঁরা অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
সংবাদমাধ্যমকে জীতেন্দ্র চৌধুরী জানান, প্রতিদিন সন্ধ্যায় টিলাবাজারে ভিড় থাকে। সেই সুযোগে শাসকদলের আশ্রিত ভাড়াটে দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে। তাঁর অভিযোগ—রাজ্যে বিজেপি এমন এক ‘মাফিয়া-সংস্কৃতি’ গড়ে তুলেছে যাতে সরকারি দপ্তর দখল করে টেন্ডার বণ্টন নিয়ন্ত্রণ করছে দলীয় কর্মীরা। সোর্সমানি আদায়ের নামে শক্তি প্রয়োগ করে টেন্ডার সারেন্ডার করানো হচ্ছে এবং সেই বাহিনীরই অংশ এই হামলাকারীরা, যারা স্থানীয় নয়।তিনি বলেন, অনলাইন টেন্ডারের আড়ালে দুর্নীতি বাড়ছে, আর ঠিকাদারি ব্যবসা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে ভয় ও শক্তির দাপটে। আইনের শাসন ভেঙে পড়েছে—এ পরিস্থিতির পরিবর্তন জরুরি। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সাহায্য করতে জেলা শাসকের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলেও জানান তিনি।এদিন তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দ—বিশ্বরূপ গোস্বামী, কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী, নীলকান্ত সিংহ, সুরমান আলি, প্রভাকর সিংহ, সৈফুদ্দিনসহ স্থানীয় কর্মীরা।