প্রতিনিধি অনুপম পাল,কৈলাসহর
আজ কৈলাসহরে আসলেন আগরতলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সর্বভারতীয় জার্নালিস্ট ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক প্রণব সরকার, খুমলুং প্রেস ক্লাবের সম্পাদক ও আগরতলা প্রেসক্লাবের এক্সিকিউটিভ সদস্য রঞ্জিত দেববর্মা এবং ত্রিপুরা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া সোসাইটির সম্পাদক সৌরজিত পাল।
কৈলাসহরে পৌঁছে প্রতিনিধি দল প্রথমেই যান সদ্যপ্রয়াত প্রবীণ সাংবাদিক স্বপন (বিদ্যুৎ) বৈদ্যের বাসভবনে। সেখানে তাঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে তাঁরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।পাশাপাশি প্রয়াতের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এরপর তাঁরা সরাসরি কৈলাসর জার্নালিস্ট ক্লাবে উপস্থিত হয়ে সেখান থেকে রওনা দেন কৈলাসহর প্রেসক্লাবের উদ্দেশ্যে।কৈলাসহর প্রেসক্লাবে পৌঁছালে প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে প্রণব সরকারসহ অন্য দুই অতিথিকে সংবর্ধনা জানানো হয়। প্রেসক্লাবের সভাপতি জামাল উদ্দিন,সম্পাদক সুকান্ত চক্রবর্তী,সহ সভাপতি অনুপম পাল,সদস্য চারুকৃষ্ণ কর তাঁদের হাতে ২০২৪-২৫ সালের ভাষা দিবসকে কেন্দ্র করে তৈরী হওয়া স্মরণিকা তুলে দেন।
সংবর্ধনা শেষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রণব সরকার বলেন, “আগরতলা প্রেসক্লাবের পর রাজ্যের সাংবাদিকতা জগতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে কৈলাসহর প্রেসক্লাব।” তিনি প্রেসক্লাবকে সকলকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে আরও বলেন, “আগামী দিনে স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য যেকোনো ওয়ার্কশপ বা প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে আগরতলা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে আমরা সর্বতোভাবে সহযোগিতা করব। প্রয়োজনে এক্সপার্ট পাঠানো হবে।”
তিনি জানান, সাংবাদিকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি এবং মানোন্নয়নের জন্য নিয়মিত ওয়ার্কশপ অত্যন্ত জরুরি। এ ধরনের কর্মসূচি যত বাড়বে, সাংবাদিকরা তত বেশি লাভবান হবেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার ওপরও তিনি জোর দেন। কৈলাসহরের প্রতি তাঁর বিশেষ টান ও এখানে বারবার এসে প্রাপ্ত আন্তরিক আতিথেয়তার প্রসঙ্গও তুলে ধরেন প্রণব সরকার। কৈলাসহর প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য তিনি সকল সদস্যদের ধন্যবাদ জানান।এদিন তিন প্রতিনিধির উপস্থিতিকে ঘিরে মহকুমার বিভিন্ন প্রান্তের সাংবাদিকরা কৈলাসহর প্রেসক্লাবে সমবেত হন।