প্রতিনিধি অনুপম পাল,কৈলাসহর
পুর পরিষদের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের কাচেরঘাট এলাকায় নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। বেঙ্গালুরুতে অস্বাভাবিক মৃত্যুর শিকার হলেন এলাকার পঁচিশ বছরের যুবক অনিকেত দে। একই ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে আরও এক যুবকের মৃতদেহ। হতবাক পরিবার-পরিজন থেকে শুরু করে গোটা শহর। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কাচেরঘাটের রজত দে-র ছেলে অনিকেত দে গত চার বছর ধরে বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। তিন মাস আগে একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। কিছুদিন বাড়িতে কাটিয়ে আবার কর্মস্থলে ফিরে যান। প্রতিদিনই ফোনে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন অনিকেত। কিন্তু গত মঙ্গলবার রাতে মায়ের ফোন তিনি আর রিসিভ করেননি। এরপর উদ্বিগ্ন হয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে অনিকেতের সহকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানতে পারেন, একটি ঘরের ভিতর অনিকেতের নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। তার সঙ্গে একই ঘরে পড়ে ছিল আরেক যুবকের মৃতদেহ—কমলপুর মহকুমার মধ্যপাড়ার বাসিন্দা অয়ন সূত্রধর। এই দুই তরুণের মৃত্যুকে অস্বাভাবিক বলে দাবি করেছে অনিকেতের পরিবার। তাদের অভিযোগ—ঘটনার পেছনে রয়েছে গভীর রহস্য, যা তদন্ত করা অত্যন্ত জরুরি।
এদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা সামাজিক মাধ্যমে জানান, রাজ্য সরকার দুই যুবকের মরদেহ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। অন্যদিকে অনিকেতের বাবা রজত দে জানান, পরিবারের কয়েকজন সদস্য ইতিমধ্যেই বেঙ্গালুরুর উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। পরিস্থিতি অনুকূল হলে অনিকেতের দেহ নিজ বাড়িতে আনা হবে বলে তিনি জানান। পাশাপাশি তিনি দুই তরুণের মৃত্যুর কারণ বিশদ তদন্তের মাধ্যমে খতিয়ে দেখে আসল রহস্য উদঘাটনের দাবি জানান।অনিকেত ও অয়নের আকস্মিক মৃত্যু শহরে চরম বেদনা ও শোকের সৃষ্টি করেছে। পরিবার-পরিজন এবং স্থানীয়বাসীর দাবী—এই মর্মান্তিক ঘটনার প্রকৃত সত্য সামনে আসুক, এবং দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।