
Oplus_131072
প্রতিনিধি অনুপম পাল, কৈলাসহর
ঊনকোটি জেলা হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবার মান নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠল। শুক্রবার সকালে কৈলাসহর মহকুমার গৌরনগর ব্লকের অধিনে থাকা ইছবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাখিরবাদা ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা দুলাল মিয়া তার চার বছরের মেয়েকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে পৌঁছান। শিশুটির তিন দিন ধরে জ্বর না কমায় উদ্বিগ্ন বাবা সকাল ৮টা নাগাদ হাসপাতালে আসেন। কিন্তু চিকিৎসা পাওয়ার পরিবর্তে কর্তব্যরত চিকিৎসকের রূঢ় ব্যবহারের শিকার হন তিনি।অভিযোগ অনুযায়ী, কর্তব্যরত ডাক্তার ধ্রুপদ দাস শিশুর অসুস্থতা সম্পর্কে কোনো গুরুত্ব না দিয়ে উল্টে রোগীর অভিভাবকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ দুলাল মিয়া অসুস্থ কন্যাকে নিয়ে হাসপাতালের গেটের সামনে ধর্নায় বসেন। উপস্থিত মানুষজনও চিকিৎসকের এই আচরণে ক্ষোভপ্রকাশ করেন।
দুলাল মিয়া বলেন— সরকার যেখানে চিকিৎসকদের বেতন দিয়ে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার দায়িত্ব দিয়েছে, সেখানে কিছু ডাক্তার রোগীদের সঙ্গে অপমানজনক ব্যবহার করছেন। তিনি বলেন, “সব ডাক্তার একরকম নন। তবে কয়েকজনের জন্য আজও দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।”
স্থানীয়দের বক্তব্য,রাজ্য সরকার বরাবরই “ডবল ইঞ্জিনের সরকার” বলে স্বাস্থ্য খাতে উন্নতির দাবি করে এসেছে। অথচ বাস্তবে চিকিৎসকের অবহেলা ও দুর্ব্যবহারের মুখে পড়ে হতাশ ও ক্ষুব্ধ হচ্ছেন। এর ফলে জনসাধারণের আস্থা ক্রমেই কমছে সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রতি। চিকিৎসকের এমন ব্যবহার শুধু অসুস্থ রোগী ও তার পরিবারের মানসিক কষ্ট বাড়াচ্ছে না, একইসঙ্গে স্বাস্থ্য পরিষেবার বেহাল চিত্রও প্রকাশ্যে আনছে। প্রশ্ন উঠছে— এটাই কি সরকারের প্রতিশ্রুত উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা?শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দুলাল মিয়া ধর্না থেকে উঠে হাসপাতালের মেডিকেল সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সংবাদ মাধ্যমের সামনে কোনো মন্তব্য করেননি। এখন দেখার বিষয়— এই অভিযোগের ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নেয়।
একদিকে রাজ্যের স্বাস্থ্য খাতে উন্নতির আশ্বাস, অন্যদিকে ভোগাতে হচ্ছে ডাক্তারদের রূঢ়তা ও অবহেলার শিকার হয়ে। ফলে ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে— ডবল ইঞ্জিনের সরকারেও বিকল ঊনকোটি জেলার স্বাস্থ্য পরিষেবা।