
প্রতিনিধি অনুপম পাল,কৈলাসহর
নিজের জন্মদিনকে মানবিক সেবার মাধ্যমে স্মরণীয় করে তুললেন অধ্যাপক সঞ্জীব চৌধুরী। মঙ্গলবার সকালে তিনি কৈলাসহর শহর থেকে প্রায় বার কিলোমিটার দূরে গোলকপুর এডিসি ভিলেজের দুই নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে চা শ্রমিক পরিবারের মেধাবী ও খেলাধুলায় পারদর্শী এক দিব্যাঙ্গ কিশোরকে আর্থিক সাহায্য প্রদান করেন।
দিব্যাঙ্গ কিশোর নয়ন কূর্মী, স্থানীয় গোলকপুর টি এস্টেট বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। নয়নের দুই পায়ের গোড়ালি বাঁকানো ইতিমধ্যেই সে খেলাধুলার প্রতি অদম্য আগ্রহ ও নিষ্ঠার জোরে ত্রিপুরা রাজ্যের অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল দলে গোলকিপার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। তবে ষাট শতাংশেরও বেশি শারীরিক প্রতিবন্ধকতার সার্টিফিকেট থাকা সত্ত্বেও এখনো পর্যন্ত সে সরকারি ভাতা থেকে বঞ্চিত।
চরম অর্থকষ্টে থাকা চা শ্রমিক পরিবারের সন্তান নয়ন পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি খেলাধুলায়ও সাফল্য অর্জনের জন্য সংগ্রাম করে চলেছে। নয়নের পিতা নিত্তম কূর্মী জানান, ভাতার সুযোগ মিললে ছেলের ভবিষ্যৎ অনেকটা উজ্জ্বল হবে। কিন্তু আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে সন্তানকে পূর্ণ সমর্থন দিতে পারছেন না।
এদিন অধ্যাপক সঞ্জীব চৌধুরী নয়নের বাড়িতে পৌঁছালে এলাকার মানুষজন ভিড় জমান। নয়নের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দিয়ে তিনি জানান, ভবিষ্যতেও নয়নের খেলাধুলা ও শিক্ষাজীবনে কোনো সমস্যা হলে তিনি পাশে দাঁড়াবেন।
উল্লেখ্য, অধ্যাপক সঞ্জীব চৌধুরী কৈলাসহরের একজন মানবিক মুখ। সমাজের পিছিয়ে পড়া ও গরিব মানুষদের পাশে তিনি বরাবরই দাঁড়িয়েছেন। শুধু জন্মদিনেই নয়, নিজের বিবাহবার্ষিকী ও সন্তানদের জন্মদিনেও তিনি দুঃস্থদের সাহায্যে এগিয়ে আসেন। সমাজসেবামূলক এই কর্মকাণ্ডে তিনি নিজে যেমন আত্মতৃপ্তি পান, তেমনি গর্বও অনুভব করেন।সংক্ষিপ্ত এই অনুষ্ঠান সঞ্জীব চৌধুরী ছাড়িও উপস্থিত ছিলেন চন্ডীপুর পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান সন্দীপ কুর্মী সহ অনান্যরা।