
Oplus_0
প্রতিনিধি অনুপম পাল,কৈলাসহর
কৈলাসহর মহকুমার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে কৃষি-সম্ভাবনা থাকলেও সঠিক জল নিকাশী ব্যবস্থার অভাবে কৃষকরা দিনের পর দিন সমস্যার মুখে পড়ছেন। বিশেষ করে গৌরনগর, কাউলিকুড়া, বিসি নগর, গুলধারপুর, ভগবাননগর—এইসব এলাকায় বৃষ্টির জল জমে থাকার কারণে জমিতে চাষ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছে। এই অবস্থায় আজ পরিদর্শনে নামলেন সমাজ শিক্ষা ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী টিংকু রায়।
মন্ত্রী সঙ্গে ছিলেন জেলা শাসক তমাল মজুমদার, মহকুমা শাসক প্রদীপ সরকার, পূর্ত দপ্তর, জল সম্পদ বিকাশ দপ্তর সহ একাধিক সরকারি আধিকারিক। মাঠে নেমে বাস্তব চিত্র দেখে মন্ত্রী বলেন,“এই মহকুমায় প্রচুর উর্বর জমি রয়েছে। কিন্তু জল বেরিয়ে যাওয়ার সঠিক ব্যবস্থা না থাকায় কৃষকেরা বিপাকে পড়ছেন। আজ আমরা কয়েকটি এলাকা ঘুরে বিষয়টি খতিয়ে দেখেছি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হবে।”
পরিদর্শনকালে বলেহর এলাকায় নদীভাঙনের কারণে বিলীন হয়ে যাওয়া একটি প্রধান সড়ক মন্ত্রী ঘুরে দেখেন এবং বলেন,“এই রাস্তাটি মানুষের যাতায়াতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই দ্রুততার সঙ্গে পুনঃনির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।”
একইসঙ্গে, কৈলাসহর ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন এলাকায় নির্মীয়মান বাঁধ নিয়েও সরেজমিনে খোঁজখবর নেন মন্ত্রী টিংকু রায়। তিনি বলেন,
“উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে মানুষের জীবন, জীবিকা ও সংস্কৃতির সংরক্ষণ—দু’টিই সমান গুরুত্বপূর্ণ। এখানে একটি প্রাচীন মন্দির, একটি বটগাছ ও বহু পুরোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাই সমস্ত বিষয় বিবেচনায় রেখেই কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, বাঁধ নির্মাণের সময় ভারী যান চলাচলের ফলে বাঁধের গঠন দুর্বল হচ্ছে এবং হালকা বৃষ্টিতেই গোটা এলাকা কর্দমাক্ত হয়ে পড়ছে। তাঁদের দাবি, আপাতত ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হোক। এ ছাড়া অন্যান্য কিছু সমস্যাও মন্ত্রীর নজরে আনেন তাঁরা।
মন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, স্থানীয়দের সমস্যা বিবেচনায় নিয়েই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আগামী দিনে এসব এলাকায় পরিকল্পিতভাবে জল নিকাশী ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং পুরনো অবকাঠামোর সংস্কারের কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হবে বলে জানান তিনি।