
Oplus_131072
প্রতিনিধি অনুপম পাল,কৈলাসহর
ভারতবর্ষ বহু ধর্ম ও সংস্কৃতির দেশ, যেখানে সম্প্রীতি ও সহাবস্থানের মধুর মেলবন্ধন যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। কিন্তু এবার সেই ঐক্যের বার্তা নতুন মোড় নিল কৈলাসহর খাদ্য দপ্তরের এক অভিনব রেশন কার্ডের মাধ্যমে! সাধারণত হিন্দু সম্প্রদায়ের রেশন কার্ডে হিন্দুদের নাম, মুসলিমদের কার্ডে মুসলিম সম্প্রদায়ের পরিবারের মানুষের নাম – এটাই হয়ে আসছে। কিন্তু এবার এক অভিনব ঘটনার জন্ম দিয়েছে রেশন কার্ড নম্বর ১৬১০০০৫৮০৮৯৮, যেখানে এক হিন্দু ও দুই মুসলিম সম্প্রদায়ের ব্যক্তি একসাথে “পরিবার” হিসেবে জায়গা পেয়েছেন! যারা একই রেশন কার্ডে স্থান পেলেন তারা হলেন,১)কার্তিক দাস(হিন্দু সম্প্রদায় ভুক্ত),এম ডি সাহাব উদ্দিন ও রহিমা বেগম(মুসলিম সম্প্রদায় ভুক্ত)।
এ যেন প্রশাসনিক স্তরে সম্প্রীতির এক নতুন উদাহরণ! একদিকে, কেউ বলছেন— “খাদ্য দপ্তর বুঝিয়ে দিল, ধর্ম দিয়ে নয়, খাবার দিয়ে মানুষ চেনা উচিত!” আবার অনেকে মুচকি হেসে বলছেন— “এ তো এক দেশ, এক কার্ড, এক সম্প্রদায়ের প্রথম ধাপ!” তবে কি এটি শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা, নাকি শুধুই প্রশাসনিক ভুল? কেউ বলছেন, ভুলবশত এমনটি হয়েছে, আবার কেউ সন্দেহ করছেন, এর পেছনে রয়েছে গভীর কোনো কারসাজি বা অবৈধ লেনদেনের ছক!
কিন্তু যাই হোক, খাদ্য দপ্তরের এই নয়া কীর্তি বেশ জমজমাট আলোচনা তৈরি করেছে। কেউ ভাবছেন, এবার থেকে হিন্দু-মুসলিম-খ্রিস্টান সবাই একসঙ্গে এক কার্ডে! ভাবুন তো, ভবিষ্যতে যদি বাঙালি-রাজস্থানী-দাক্ষিণাত্য মিলিয়ে একসাথে রেশন কার্ড দেওয়া হয়, তবে দেশজুড়ে নতুন এক মিশ্র-সাংস্কৃতিক পরিবারের জন্ম হতে পারে! খাদ্য দপ্তর কি তবে সেই ভবিষ্যতেরই ইঙ্গিত দিচ্ছে?
এখন দেখার বিষয়, এই রেশন কার্ড রহস্যের পর্দা ওঠে নাকি সম্প্রীতির এহেন “পরিবার” আস্তে আস্তে আরও বাড়তে থাকে!