প্রতিনিধি অনুপম পাল
কৈলাসহর,ঊনকোটি ত্রিপুরা
২০১৯ সালের এপ্রিলে সংঘটিত একটি হত্যাকাণ্ডের মামলায় আজ সেশন জজ আদালত তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন। জরিমানা না দিলে তাদের আরও তিন মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
২০১৯ সালের ২২ এপ্রিল, গৌরনগর গ্রামের বাসিন্দা মাগবত আলী রাজমিস্ত্রির কাজ করছিলেন। কাজ সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ইরানি গ্রামের জমির আলী মাগবত আলীর বিরুদ্ধে যুবরাজ নগর পঞ্চায়েতের লিগ্যাল এইড ক্লিনিকে অভিযোগ করেন। ২৮ এপ্রিল, মাগবত আলী, তার ভাই আসব আলী এবং বোন জয়রুন নেছা অভিযোগের নিষ্পত্তির জন্য সেখানে উপস্থিত হন।
ক্লিনিক ইনচার্জ কামাল এম মছদ্দর উভয় পক্ষকে সমঝোতার পরামর্শ দেন এবং মাগবত আলীকে জমির আলীকে পাঁচ হাজার টাকা প্রদানের নির্দেশ দেন। কিন্তু মাগবত আলী জানান, তার কাছে তখন তিন হাজার টাকা রয়েছে এবং বাকি দুই হাজার টাকা পরে দেবেন। এর পরেই উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়।
লিগ্যাল এইড ক্লিনিক থেকে বের হওয়ার সময় জমির আলীর দুই ভাই শাহিন আলী এবং হোসেন আলী মাগবত আলীকে ধরে ফেলেন। জমির আলী পিছন থেকে একটি বড় ছুরি দিয়ে মাগবত আলীর গলা কেটে দেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ব্যক্তিরা মাগবত আলীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর মাগবত আলীর ভাই আসব আলী ইরানি থানায় তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলাটি ছিল কেস নাম্বার ২৭/২০১৯। তদন্তকারী পুলিশ অফিসার চৈতন্য রিয়াং ২০১৯ সালের ৩১ আগস্ট চার্জশিট দাখিল করেন, যেখানে আসামিদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ এবং ৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
গতকাল আদালত আসামি জমির আলী, হোসেন আলী, এবং শাহিন আলীকে দোষী সাব্যস্ত করেন। আজ সেশন জজ সুদীপ্তা চৌধুরী তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন এবং প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করার নির্দেশ দেন। মামলাটি পরিচালনা করেন সরকার পক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর সুনির্মল দেব।