
দ্যা ইউনাইটেড ত্রিপুরা প্রতিনিধি অনুপম পাল,দীর্ঘ কুড়ি দিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে কৈলাসহরের মনু ল্যান্ড কাস্টম দিয়ে পণ্য আমদানি পুনরায় শুরু হয়েছে। গত ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাসের ব্যারিকেড তুলে দেওয়া হলে পরদিন,অর্থাৎ আজ ১৭ ডিসেম্বর সকাল থেকে স্বাভাবিকভাবে পণ্য আদান-প্রদান শুরু হয়।
গত ২৭ নভেম্বর, বাংলাদেশ সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র স্বামী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি এবং বাংলাদেশে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের উপর পরিকল্পিত অত্যাচারের প্রতিবাদে কৈলাসহর সনাতনী হিন্দু সমাজ মনু ল্যান্ড কাস্টম অফিসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এ সময় অফিস সংলগ্ন রাস্তায় বাসের ব্যারিকেড লাগিয়ে পণ্য আমদানি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সংগঠন নিজেদের মতামত জানিয়ে বিক্ষোভে অংশ নেয়। কংগ্রেসের বিধায়ক বীরজীৎ সিংহ, আরকেআই মাঠে বিক্ষোভের সময় প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানান, যাতে ব্যারিকেড তুলে দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি পুনরায় শুরু করা যায়। পণ্য আমদানি বন্ধ থাকার কারণে ব্যবসায়ী এবং শ্রমিকরা চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছিলেন।
দীর্ঘদিন ধরে পণ্য আমদানি বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। এদিকে, শ্রমিকরাও কাজ হারিয়ে চরম দুরবস্থার মুখোমুখি হন। একজন স্থানীয় ব্যবসায়ী বলেন, “দু’দেশের মধ্যে পণ্য আদানপ্রদান বন্ধ থাকায় গত কুড়ি দিন ব্যবসায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। একইসঙ্গে, শ্রমিকরাও উপার্জন হারিয়ে সমস্যায় পড়েছিলেন।”
সোমবার বিকেলে প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বাসের ব্যারিকেড সরিয়ে নেওয়া হয়। মঙ্গলবার থেকে পুনরায় পণ্য আমদানি শুরু হওয়ায় ব্যবসায়ী এবং শ্রমিকরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন। বহু শ্রমিক কাজে ফিরে আসতে পেরে তাদের পরিবারে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
মনু ল্যান্ড কাস্টম দিয়ে পণ্য আমদানি পুনরায় শুরু হওয়ায় ব্যবসায়িক কার্যক্রমে গতি ফিরে এসেছে। তবে এ ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে যেন না ঘটে, সেই জন্য প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলিকে আরও সতর্ক থাকার প্রয়োজন। দুই দেশের মধ্যে শান্তিপূর্ণ ও নিরবচ্ছিন্ন বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে বলে মনে করছেন দুদেশের জনসাধারণ।