
আগরতলা,প্রতিনিধি
যুবসমাজের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করল ত্রিপুরা রাজ্য সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দিশানির্দেশে এবং স্বচ্ছ নিয়োগ নীতির অধীনে আজ রাজ্যের ২,৮০৬ জন সফল প্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে এই নিয়োগপত্র বিতরণ করা হয়, যেখানে কেন্দ্রীয় গৃহ ও সমবায় মন্ত্রী অমিত শাহ ভার্চুয়াল মাধ্যমে উপস্থিত ছিলেন।
রাজ্য সরকারের প্রচেষ্টায় জয়েন্ট রিক্রুটমেন্ট বোর্ড অফ ত্রিপুরা (JRBT) ও স্বাস্থ্য দপ্তরের মাধ্যমে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে—JRBT (গ্রুপ-D) বিভাগে ২,৪৩৭ জন প্রার্থী সফল হয়েছেন। স্বাস্থ্য দপ্তরে নিয়োগ পেয়েছেন ৩৬৯ জন প্রার্থী। রাজ্যের ৩৭টি দপ্তরে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
এই নিয়োগের ফলে কর্মসংস্থানের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে, যা ত্রিপুরার যুবকদের স্বপ্নপূরণে সহায়ক হবে।
রাজ্য সরকার বরাবরই স্বচ্ছ নিয়োগ ব্যবস্থার উপর জোর দিয়ে এসেছে। কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্যের যৌথ প্রচেষ্টায় কর্মসংস্থান সৃষ্টির এই উদ্যোগ যুবশক্তির সামগ্রিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। রাজ্য প্রশাসনের মতে, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনো পক্ষপাতিত্ব বা অনিয়ম হয়নি, যা সরকারের স্বচ্ছ নীতির প্রমাণ।
নিয়োগপত্র হাতে পেয়ে প্রার্থীদের মধ্যে আনন্দের জোয়ার বইছে। এক সফল প্রার্থী, অনিকেত দেববর্মা বলেন, “দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে সরকারি চাকরির সুযোগ পেলাম। সরকারের স্বচ্ছ নিয়োগ ব্যবস্থার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।”
স্বাস্থ্য দপ্তরে নিয়োগ পাওয়া এক প্রার্থী, সঞ্জীব দাস জানান, “এই নিয়োগের ফলে আমি আমার পরিবারকে আর্থিকভাবে সহায়তা করতে পারব। সরকারের এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়।”
ত্রিপুরা রাজ্য সরকার জানিয়েছে, ভবিষ্যতে আরও বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন বিভাগে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলতে থাকবে। কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।
রাজ্যের তরুণদের জন্য এটি এক আশার আলো। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘আত্মনির্ভর ভারত’ এবং ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ নীতির অধীনে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া ত্রিপুরার অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কর্মসংস্থান বৃদ্ধির এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে আগামী দিনে আরও বহু তরুণ-তরুণী সরকারি চাকরির সুযোগ পাবেন।