
প্রতিনিধি অনুপম পাল,কৈলাসহর
সোনামুখী চা বাগানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ার কাজে স্থানীয় শ্রমিকদের কাজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও বাস্তবে বহিরাগত শ্রমিকদের নিয়োগ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে সিআইটিইউ এবং সর্বভারতীয় কৃষক সভার কৈলাসহর মহকুমা কমিটি। একইসঙ্গে ছনতৈল মৌজায় বাঁশবাগান তৈরির নামে ফলন্ত গাছ কাটারও প্রতিবাদ জানিয়েছে এই সংগঠন দুটি।
এই দাবিসহ মোট তিন দফা দাবিতে বুধবার বিকেলে ঊনকোটি জেলার জেলা শাসকের কাছে স্বারকলিপি জমা দেয় সংগঠনগুলির প্রতিনিধিদল। সর্বভারতীয় কৃষক সভার মহকুমা নেতৃত্ব নীলকান্ত সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের এক প্রতিনিধি দল জেলা শাসক দিলীপ কুমার চাকমার হাতে এই স্বারকলিপি তুলে দেয়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন নিরঞ্জন রায়, অনন্ত দাস ও অনন্ত নমঃ।
স্বারকলিপি প্রদান শেষে প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে নীলকান্ত সিনহা জানান, ঊনকোটি জেলার সোনামুখী চা বাগান দীর্ঘদিন ধরেই রুগ্ন অবস্থায় রয়েছে। রাজ্য সরকার কয়েক মাস আগে এই চা বাগানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেয় এবং সেই অনুযায়ী নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রথমদিকে প্রশাসনিক আধিকারিকরা পরিদর্শনে এসে স্থানীয় শ্রমিকদের কাজে যুক্ত রাখার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু বাস্তবে স্থানীয় শ্রমিকদের বদলে বহিরাজ্যের শ্রমিকদের কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে, যা শ্রমিকদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে। অভিযোগ, স্থানীয় শ্রমিকদের বাদ দিয়ে শাসকদলের মদতপুষ্ট নেতারা বহিরাগতদের দিয়ে কাজ করাচ্ছেন।
এছাড়া, ছনতৈল মৌজায় কৃষি ও উদ্যান দপ্তরের দীর্ঘদিনের পুরানো একটি ফলবাগান রয়েছে। সম্প্রতি বাঁশবাগান তৈরির জন্য সেই ফলবাগানের সমস্ত পুরানো গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। সংগঠনগুলোর দাবি, ফলন্ত গাছ না কেটে পাশের খালি জমিতে বাঁশবাগান তৈরি করা হোক এবং এতে স্থানীয় কৃষক ও শ্রমিকদের কাজের সুযোগ দেওয়া হোক।
সংগঠনগুলোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জেলা শাসক দিলীপ কুমার চাকমা প্রতিটি বিষয় গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা ও প্রকৃত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে প্রশাসন কী পদক্ষেপ নেয়, সেদিকে নজর রাখছে সংশ্লিষ্ট মহল।