
Oplus_131072
প্রতিনিধি অনুপম পাল,কৈলাসহর
ডিমাপুরস্থিত ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উত্তর-পূর্বাঞ্চল সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং ত্রিপুরা সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় উদ্বোধন হলো সীমান্ত এলাকার এক ব্যতিক্রমী সাংস্কৃতিক উৎসব। চন্ডীপুর বিধানসভার অন্তর্গত ভদ্রপল্লী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন ত্রিপুরা সরকারের সমাজ শিক্ষা ও সমাজ কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়।
অনুষ্ঠানের সূচনা হয় মন্ত্রী টিংকু রায়ের প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঊনকোটি জেলা পরিষদের মাননীয় সভাধিপতি অমলেন্দু, ঊনকোটি জেলা শাসক দীলিপ কুমার চাকমা, সমাজ সেবক বিমল কর সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। তাঁদের উপস্থিতি ও বক্তব্যে অনুষ্ঠানটি আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে।
উদ্বোধনী ভাষণে মন্ত্রী টিংকু রায় বলেন, “সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সংরক্ষণ এবং নতুন প্রজন্মের কাছে তা পৌঁছে দেওয়ার এই প্রয়াস সত্যিই প্রশংসনীয়। উত্তর-পূর্ব ভারতের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষার জন্য এমন সাংস্কৃতিক উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত সীমান্ত এলাকায় এই ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড আয়োজনের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি আরও সুদৃঢ় হবে। পাশাপাশি নতুন প্রজন্ম তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি সম্পর্কে অবগত হতে পারবে এবং তার প্রচার ও প্রসারে এগিয়ে আসতে অনুপ্রাণিত হবে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে এই মহতী উদ্যোগের অংশ হতে পেরেছি।”
তিনি আরও বলেন, “সাংস্কৃতি মানুষের জীবনবোধকে প্রসারিত করে, সমাজের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়ার জায়গাকে আরও দৃঢ় করে তোলে। তাই এই ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের লোকসংস্কৃতি, নৃত্য, সংগীত এবং অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী শিল্পরূপ সংরক্ষণের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।”
এই অনুষ্ঠান বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং শিল্পীদের অংশগ্রহণে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। স্থানীয় লোকনৃত্য, গান, নাটক এবং অন্যান্য পরিবেশনা দর্শকদের মুগ্ধ করে। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণের মাধ্যমে এটি এক ঐক্যের প্রতিচিত্র হয়ে ওঠে।
উল্লেখ্য, এমন আয়োজনের মাধ্যমে ত্রিপুরা তথা উত্তর-পূর্ব ভারতের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে আরও জোরদার করার পাশাপাশি নতুন প্রতিভাদের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভবিষ্যতে এমন আরও উদ্যোগ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।