প্রতিনিধি অনুপম পাল,কৈলাসহর
কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের কৃষি ও কৃষক-বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হলো সারাভারত কৃষক সভার তৃতীয় ঊনকোটি জেলা সম্মেলনে। রবিবার শহরের সুনীতিবালা মজুমদার স্মৃতি ভবনে আয়োজিত এই সম্মেলনে জেলার কৈলাসহর ও কুমারঘাট মহকুমা থেকে মোট ৮৫ জন প্রতিনিধি অংশ নেন।সম্মেলনের সূচনায় পতাকা উত্তোলন করেন সংগঠনের রাজ্যপরিষদ সহ-সম্পাদক রতন দাস। শহিদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান সংগঠনের জেলা ও মহকুমা নেতৃত্বসহ উপস্থিত প্রতিনিধিরা। শহিদ স্মরণে প্রস্তাব পাঠ করেন নীলকান্ত সিনহা এবং শোক প্রস্তাব পাঠ করেন অবনী দেবনাথ। এরপর পিযূষ চক্রবর্তী, কয়েস মিঞা, টুনু মালাকার ও সাধন চাকমাকে নিয়ে সভাপতি মণ্ডলী গঠন করে শুরু হয় সম্মেলনের মূল অধিবেশন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে রতন দাস বলেন, “২০১৪ সাল থেকে দেশে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। কংগ্রেস যে পুঁজিবাদী অর্থনীতি চালু করেছিল, বিজেপি সেই ব্যবস্থাকেই আরও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। গরীব ও কৃষকশ্রেণির স্বার্থে দুই দলের মধ্যে কোনও মৌলিক পার্থক্য নেই।” তিনি আরও বলেন, “কেন্দ্রের কর্পোরেটমুখী নীতির কারণে আজ কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। কৃষি আর লাভজনক না হওয়ায় অনেকেই কৃষিমজুরে পরিণত হচ্ছেন। কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনই এখন সময়ের দাবি।”
সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সিদ্দিকুর রহমান, শশাঙ্ক মজুমদার এবং সিপিআই(এম) জেলা সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী। জেলা সম্পাদক ইনুচ মিঞা খাদিমের উপস্থাপিত সম্পাদকীয় প্রতিবেদনের উপর দুটি মহকুমা থেকে চারজন প্রতিনিধি আলোচনা করেন। প্রতিনিধিদের আলোচনায় কৃষকদের জন্য বিনামূল্যে সার, বীজ ও ওষুধ সরবরাহ, গৃহহীনদের ঘর নির্মাণ, পর্যাপ্ত জলসেচ ব্যবস্থা এবং সহজ শর্তে কৃষিঋণ প্রদানের দাবি উত্থাপিত হয়।সম্মেলন শেষে ৩১ সদস্যের নতুন জেলা কমিটি গঠন করা হয়। তাতে সভাপতি হিসেবে পিযূষ চক্রবর্তী ও সম্পাদক হিসেবে ইনুচ মিঞা খাদিম পুনর্নির্বাচিত হন।