
Oplus_131072
কৈলাসহর প্রতিনিধি অনুপম পাল,বিজেপির রাজনৈতিক ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় যোগ করে কৈলাসহরের প্রীতম ঘোষ সর্বকনিষ্ঠ মন্ডল সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। সংঘ পরিবারের সাথে অতপ্রতভাবে জড়িত প্রীতম ঘোষ মাত্র ৩২ বছর বয়সে এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পান। তিনি সংঘের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষিত এবং ছাত্রজীবন থেকেই ভারতীয় জনতা পার্টির আদর্শে অনুপ্রাণিত।
প্রীতম ঘোষের জন্ম ১৯৯২ সালের ১০ই নভেম্বর। শিক্ষাগত যোগ্যতায় তিনি দ্বাদশ শ্রেণি উত্তীর্ণ এবং আইটিআই সার্ভেয়ার কোর্স পাশ করেছেন। কর্মজীবনের শুরু থেকেই তিনি সংগঠনের প্রতি একনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন।
প্রীতম ঘোষ কৈলাসহর মন্ডলে ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা এক দক্ষ সংগঠক। ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার কৈলাসহর মন্ডলের সভাপতি হিসেবে কাজ করেন। এরপর ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ঊনকোটি জেলা যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
এই দায়িত্ব পালনকালে তিনি দলীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। দলের আদর্শ ও নীতিকে সাধারণ মানুষের মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য তার কাজ প্রশংসিত হয়েছে।
সর্বকনিষ্ঠ মন্ডল সভাপতি হিসেবে প্রীতম ঘোষের নিয়োগ বিজেপির তরুণ নেতৃত্ব গঠনের অঙ্গীকারকে আরও জোরদার করেছে। তার এই দায়িত্বপ্রাপ্তি কৈলাসহরের রাজনৈতিক মঞ্চে নতুন প্রজন্মের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার একটি উদাহরণ।
প্রীতম ঘোষ জানিয়েছেন, “এই দায়িত্ব পেয়ে আমি গর্বিত। সংঘ এবং দলের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সাধারণ মানুষের সেবা করাই আমার মূল লক্ষ্য। দলকে আরও শক্তিশালী করতে আমি সর্বদা প্রস্তুত।”
তরুণ নেতৃত্ব ও উদ্যমে ভরপুর প্রীতম ঘোষের হাত ধরে বিজেপি কৈলাসহর মন্ডল আরও শক্তিশালী হবে বলে দলের নেতৃবৃন্দ আশাবাদী। তার নেতৃত্বে তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণ বাড়বে এবং বিজেপির ভিত্তি আরও মজবুত হবে।
এ ধরনের দায়িত্ব তরুণ প্রজন্মকে রাজনীতির মূলধারায় আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনে অনুপ্রাণিত করবে। প্রীতম ঘোষের এই যাত্রা শুধু তার নিজের নয়, বরং কৈলাসহর এবং পুরো রাজ্যের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য অধ্যায়।