
Oplus_131072
প্রতিনিধি অনুপম পাল
কৈলাসহর,ঊনকোটি ত্রিপুরা
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর একের পর এক আক্রমণের ফলে দেশত্যাগের পথ বেছে নিচ্ছেন অনেকেই। এই বাস্তবতারই প্রতিফলন ঘটেছে গতকাল, যখন ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (BSF) ১৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক এবং ৩ জন ভারতীয় দালালকে আটক করেছে।
বিএসএফ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুর আনুমানিক ১২:৩০ ঘটিকায়, দুটি অটোরিকশায় করে বাংলাদেশের ১৩ জন নাগরিক ভারতীয় সীমান্তের দিকে অগ্রসর হচ্ছিলেন। শ্রীরামপুর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে সীমান্তরক্ষীরা তাদের সন্দেহভাজন মনে করে আটক করে। পরে তাদের আইনানুগ প্রক্রিয়ার জন্য সমারুপাড়া বিওপিতে নেওয়া হয়।যে সকল বাংলাদেশী নাগরিকদের বিএসএফ আটক করেছে তারা হলেন,রতিলাল দাস (৬২),বিনা রাণী দাস (৬০),হাওয়াল দাস (৬০),সুমিত্রা দাস (৪৫),অনামিকা দাস (১৭),হেমন্ত দাস (১৫),ভূমি দাস (৬),রূপালী রাণী দাস (৩২),অঙ্কিতা দাস (১৫),সুশমিতা দাস (১০),প্রান্তিক দাস (৪),অরূপ দাস (১),হৃদয় দাস (২১)।
এছাড়াও, সীমান্ত পার হতে তাদের সহায়তা করছিলেন তিনজন ভারতীয় দালাল। অজিত দাস (শ্রীরামপুর, চণ্ডীপুর বিধানসভা, ঊনকোটি জেলা),প্রসেনজিৎ দেবনাথ (কমলপুর, ধলাই জেলা),কাজল দাস (শিলচর, কাছার জেলা)।
বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বিশেষ করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ক্রমাগত সহিংসতার শিকার হচ্ছেন। ইউনূস সরকারের আমলে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ এবং জমি দখলের ঘটনা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এই হামলাগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় বহু সংখ্যালঘু পরিবার জীবন বাঁচাতে দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এই ঘটনায় আটক হওয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু, যা পরিষ্কারভাবে ইঙ্গিত দেয় যে, তারা নিজেদের নিরাপত্তাহীনতার কারণে দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছেন। যদি বাংলাদেশ সরকার সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারে, তবে আগামী দিনে এই ধরনের অনুপ্রবেশের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বুদ্ধিজীবী মহল। বিএসএফ আটককৃতদের কৈলাসহর থানার হাতে তুলে দিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলা দায়ের করা হয়েছে। কৈলাসহর থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি সুকান্ত সেন চৌধুরী জানিয়েছেন, আজই তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।