
Oplus_131072
প্রতিনিধি অনুুপম পাল
কৈলাসহর,ঊনকোটি ত্রিপরা
রাঙ্গাউটি গ্রাম পঞ্চায়েতের দেবীপুর এলাকায় ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে বাংলাদেশ সরকারের অবৈধ বাঁধ নির্মাণের বিরুদ্ধে কৈলাসহরে থমথমে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বাঁধ নির্মাণ ও মনু নদীর বাঁধ সংস্কারের দাবিতে কংগ্রেস দলের নেতৃত্বে আজ বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়।
সকাল ১০টা থেকে কংগ্রেস কর্মী ও স্থানীয় জনগণ একত্রিত হয়ে কৈলাসহর-কুমারঘাট এবং কৈলাসহর-ধর্মনগর সড়কের এয়ারপোর্ট সংলগ্ন এলাকায় দুই ঘণ্টার পথ অবরোধ করেন। এতে যান চলাচল ব্যাহত হয় এবং বহু যানবাহন আটকা পড়ে। বিক্ষোভকারীরা দাবি তোলেন, অবিলম্বে মনু নদীর বাঁধ সংস্কার ও উঁচু করার পদক্ষেপ নিতে হবে।
বিধায়ক বীরজিৎ সিনহা বলেন, বাংলাদেশ সরকারের নির্মাণকৃত এই অবৈধ বাঁধ ভবিষ্যতে ভয়াবহ বন্যার কারণ হতে পারে। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে এই বাঁধ সরেজমিনে পরিদর্শনের আহ্বান জানান। বিধায়ক আরও জানান, ২০১৮ সালের বন্যার ক্ষয়ক্ষতি এখনো পূরণ হয়নি, অথচ রাজ্য সরকার বাঁধ সংস্কারে গাফিলতি করছে।
বিধায়ক পরিদর্শনকালে মনু নদীর বাঁধের দুর্বলতা ও অবৈধ বালির খনির উপস্থিতি লক্ষ্য করেন। এসব খনির কারণে নদীর গতিপথ পরিবর্তনের আশঙ্কা রয়েছে। তিনি প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার তীব্র সমালোচনা করেন।
টিলাবাজার থেকে দেবীপুর সীমান্ত পর্যন্ত কংগ্রেসের লংমার্চে প্রায় ৩ হাজার লোকের জনসমাগম হয়। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে কংগ্রেস কর্মীরা সীমান্তের দিকে অগ্রসর হলে উত্তেজনা দেখা দেয়। তবে প্রথম গেট অতিক্রম করলেও পুলিশ প্রশাসন তাদের আটকে দেয়। পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক জয়ন্ত কর্মকার সহ একঝাক পুলিশ কর্মীরা উত্তেজিত কর্মীদের শান্ত করান। পরে গৌরনগর পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান বদরুজ্জামানের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকারের এই অবৈধ বাঁধ নির্মাণের ফলে ভারী বৃষ্টিপাতে কৈলাসহর প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
কংগ্রেস নেতারা জানান, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে মনু নদীর বাঁধ সংস্কার ও উঁচু করার কাজ শুরু না হলে ৪৮ ঘণ্টার বন্ধ ডাকা হবে। এরপরও যদি কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তবে বন্যা নিয়ন্ত্রণ দপ্তরকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঘেরাও করা হবে।
বাংলাদেশের অবৈধ বাঁধ নির্মাণ এবং রাজ্য সরকারের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে স্থানীয় জনগণের মধ্যে অসন্তোষ চরমে পৌঁছেছে। অবিলম্বে কার্যকরী পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।