
Oplus_131072
প্রতিনিধি নিজস্ব,আগরতলা
রাজ্যে ফের ঘটলো পাশবিক লালসার নৃশংস ঘটনা। পশ্চিম জেলার রাজনগর আবাসন সংলগ্ন এলাকায় ১৩ বছরের এক নাবালিকা পাশবিক লালসার শিকার হয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী শঙ্কর দাসের বিরুদ্ধে। বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় নাবালিকা জিবি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।নাবালিকার মায়ের অভিযোগ, অভিযুক্ত শঙ্কর দাসকে মেয়ে ‘দাদু’ বলে সম্বোধন করত। বাবা–মা বাড়িতে অনুপস্থিত থাকার সুযোগে মেয়েটিকে বাড়ির কাছেই একটি খালি ঘরে নিয়ে গিয়ে শারীরিক নির্যাতন চালায় সে। পরে যাতে ভুক্তভোগী কাউকে কিছু জানাতে না পারে, এজন্য তাকে বিষাক্ত কোনো পদার্থ খাইয়ে দিয়ে ফেলে রেখে যায় বলে অভিযোগ। স্থানীয়রা মেয়েটিকে গুরুতর অবস্থায় ঘরে পড়ে থাকতে দেখে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। পরিবারের দাবি, বিষক্রিয়ার প্রভাবে নাবালিকা মেয়ের শরীর থেকে অস্বাভাবিক নীলাভ ধোঁয়ার মতো লক্ষণ বের হতে দেখা যায় এবং ক্রমশ তার শারীরিক অবনতি ঘটছে।
ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় বিধায়ক তথা আগরতলার মেয়র দীপক মজুমদার হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং নাবালিকার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। তিনি জানান, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোরতম শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। আইন আইনের পথেই চলবে, কোনো দোষী রেহাই পাবে না বলেও তিনি প্রতিশ্রুতি দেন।
এদিকে স্থানীয়রা ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। প্রতিবেশীরা বলেন, এমন ঘৃণ্য ঘটনা কেবল সমাজের নিরাপত্তাহীনতাকেই সামনে নিয়ে আসে না, বরং কিশোর-কিশোরীদের সুরক্ষার বিষয়টিকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে। অনেক অভিভাবক মনে করছেন, সন্তানদের সুরক্ষায় পরিবার ছাড়াও প্রতিবেশী ও সমাজকেও আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।চিকিৎসকরা জানিয়েছে,নাবালিকার অবস্থা আশঙ্কাজনক। দ্রুত ও সঠিক চিকিৎসার পাশাপাশি প্রয়োজন বিশেষ ধরনের বিষনিরোধক ব্যবস্থা (antidote)। একইসঙ্গে মেয়েটি মানসিকভাবে মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় দীর্ঘমেয়াদি কাউন্সেলিং প্রয়োজন হবে।সমাজকর্মী ও শিক্ষিত মহল মনে করছে, কেবল আইনগত শাস্তি নয়, এ ধরনের অপরাধ রোধে শিশু সুরক্ষায় সচেতনতা গড়ে তোলা জরুরি। স্কুল ও সমাজ-স্তরে শিশু সুরক্ষা বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা কর্মসূচি চালু করা সময়ের দাবি।