
নিজস্ব প্রতিনিধি,আগরতলা
ত্রিপুরা রাজ্যে গাঁজা পাচার একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে রেলপথকে ব্যবহার করে পাচারকারীরা সক্রিয়ভাবে তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। জিআরপি, আরপিএফ, ও থানা পুলিশের নজর এড়িয়ে পাচারকারীরা সহজেই তাদের নেশা দ্রব্য বহন করছে। তবে পুলিশের প্রচেষ্টা পুরোপুরি অকার্যকর বলা যাবে না। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অনেক ক্ষেত্রেই সফল অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
শনিবার যোগেন্দ্রনগর রেলস্টেশনে পূর্ব আগরতলা থানা ও কলেজটিলা ফাঁড়ি থানার পুলিশের যৌথ অভিযানে ৫ কেজি ১০০ গ্রাম শুকনো গাঁজা উদ্ধার হয়। এর আনুমানিক বাজারমূল্য এক লক্ষাধিক টাকা। অভিযানে বিহারের বাসিন্দা বিক্রম কুমার নামের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। থানার ওসি রানা চ্যাটার্জী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এই সাফল্য আসে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে পুলিশ রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আদালতে সোপর্দ করা হবে।
২০২৫ সালের শুরুর দিকেই আগরতলা রেলস্টেশন থেকে কয়েক কুইন্টাল গাঁজা এবং অন্যান্য নেশা দ্রব্য জব্দ করেছে পুলিশ। শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হলেও পাচারের চক্র পুরোপুরি থামানো যায়নি। পুলিশের প্রতিদিনের অভিযানে প্রচুর গাঁজা বাগান ধ্বংস করা হলেও প্রশ্ন উঠেছে, এতো গাঁজা কীভাবে বহিঃরাজ্যে পাচার হচ্ছে।
পুলিশি অভিযান ও নজরদারি সত্ত্বেও পাচারকারীরা নতুন নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করছে। রেলপথকে বেছে নেওয়া তাদের অন্যতম প্রধান কৌশল। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বহিঃরাজ্যের যুবকেরা এই কাজে জড়িত থাকছে, যারা সহজেই পুলিশের নজর এড়িয়ে যাচ্ছে।
পুলিশের অভিযানের পর জব্দকৃত গাঁজা কীভাবে পাচারকারীদের কাছে ফিরে যাচ্ছে, তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সন্দেহ রয়েছে। অনেকের অভিযোগ, পুলিশের কোনো কোনো অংশ এই চক্রে জড়িত থাকতে পারে। ফলে, পুলিশের অভিযান কার্যকর হলেও এই ধরনের অভিযোগ অভিযানগুলোর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।