প্রতিনিধি নিজস্ব
আগরতলা,পশ্চিম ত্রিপুরা
নেশামুক্ত ত্রিপুরার স্লোগানের আড়ালে ক্রমশ নেশার হাব হয়ে উঠছে রাজ্যের রাজধানী শহর আগরতলা। শহরে নেশা সামগ্রীর অনুপ্রবেশ ঠেকাতে প্রশাসন বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও নেশা কারবারিদের অপতৎপরতা থেমে নেই। রবিবার, জাতীয় যুব দিবসের সকালেই, পূর্ব ও পশ্চিম আগরতলা থানার যৌথ অভিযানে এক সাফল্য এসেছে।
এদিন প্রতাপগড় ঝুলন্ত ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা থেকে NL 01A J0403 নম্বরের একটি মালবাহী লরি আটক করে পুলিশ। তল্লাশি চালিয়ে গাড়িটি থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত ইয়াবার বাজারমূল্য প্রায় এক কোটি টাকারও বেশি। ঘটনায় লরি চালক জামাল হোসেন (৪৩) এবং সহ চালক মন্টু বর্মন (৩৬)-কে আটক করা হয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়ে পশ্চিম জেলার পুলিশ সুপার কিরণ কুমার কে, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দেবপ্রসাদ রায় ঘটনাস্থলে পৌঁছান। জেলা পুলিশ সুপার জানান, গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়। লরি তল্লাশির সময় বিপুল ইয়াবা ট্যাবলেটের চালান ধরা পড়ে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, লরিটি মেঘালয় থেকে সিমেন্ট বোঝাই করে সোনামুড়ার দিকে যাচ্ছিল।
ধৃতদের পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে জানতে চেষ্টা করছে, এই নেশা সামগ্রী কোথা থেকে আনা হয়েছে এবং রাজ্যে কোথায় এর ডেলিভারি দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। পাশাপাশি, এর পেছনে কারা জড়িত এবং কোনো সংগঠিত চক্র কাজ করছে কি না, তা তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে।
সচেতন মহল থেকে প্রশ্ন উঠছে, এতগুলো থানা পেরিয়ে কীভাবে এই লরি রাজধানীতে পৌঁছালো? পুলিশের ভূমিকায় রাজনৈতিক প্রভাব বা আর্থিক লেনদেন জড়িয়ে থাকার সম্ভাবনা কি সত্যি? নেশার বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির বাস্তবায়ন কতটা কার্যকর, তা নিয়েও জনমনে সন্দেহ রয়েছে।
এ ধরনের অভিযানে সাফল্য এলেও নেশা সামগ্রীর পাচারের পরিমাণ যে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল। তারা মনে করেন, শুধুমাত্র প্রচার বা স্লোগানে নয়, প্রশাসনকে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।