
প্রতিবেদন । অনুপম পাল
ভারতের গণতান্ত্রিক পরিসরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সুশাসন ও উন্নয়নমুখী কার্যক্রম এক গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে। তাঁর নেতৃত্বে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন রাজ্যে জনগণের আস্থা অর্জন করে চলেছে। সাম্প্রতিক দিল্লী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির গৌরবময় বিজয় তারই একটি প্রতিফলন।
এই জয়কে উদযাপন করতে আগরতলার রাজপথে বিজয় মিছিলের আয়োজন করা হয়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক (ডাঃ) মানিক সাহা, সমাজ শিক্ষা ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী টিংকু রায়সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব। এই বিজয় মিছিলে উদ্দীপ্ত বিজেপি কর্মীদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো।
বিজেপি নেতৃত্বের মতে, দিল্লী বিধানসভা নির্বাচনে প্রাপ্ত এই বিজয় প্রধানমন্ত্রীর সুশাসন, উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক নীতির প্রতি জনগণের বিশ্বাসেরই প্রতিফলন। মোদি সরকারের সুশাসনের মূল দিকগুলো হল, মোদি সরকার জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে সড়ক, রেল, বিমানবন্দর ও ডিজিটাল পরিকাঠামোর উন্নয়নে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে, যা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজতর করেছে।”উজ্জ্বলা যোজনা”, “আয়ুষ্মান ভারত”, “স্বচ্ছ ভারত অভিযান” ও “জনধন যোজনা”-এর মতো কর্মসূচি সরাসরি সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করেছে। স্বচ্ছ প্রশাসন নিশ্চিত করতে ডিজিটাল গভার্নেন্স, আধার সংযুক্ত ভর্তুকি ব্যবস্থা, সরাসরি ব্যাংক লেনদেন ইত্যাদির মাধ্যমে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। স্থানীয় উৎপাদনকে উৎসাহিত করার জন্য “মেক ইন ইন্ডিয়া” ও “আত্মনির্ভর ভারত” কর্মসূচি গৃহীত হয়েছে, যা কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করেছে।
বিজেপির এই জয় জনগণের আস্থা ও সমর্থনের স্পষ্ট ইঙ্গিত বহন করে। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে মোদি সরকারের সুশাসন, জনকল্যাণমূলক পদক্ষেপ এবং উন্নয়নমূলক নীতিগুলোর প্রতি জনসাধারণের ইতিবাচক মনোভাব ফুটে উঠেছে।
ত্রিপুরার বিজেপি নেতৃত্ব ও কর্মীরা এই বিজয়কে ভারতীয় রাজনীতির এক নতুন দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছেন এবং ভবিষ্যতে মোদি সরকারের সুশাসনের আদর্শকে আরো শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। আগরতলায় অনুষ্ঠিত বিজয় মিছিল সেই আস্থারই বহিঃপ্রকাশ।