আগরতলা,নিজস্ব প্রতিনিধি,ধর্ম ও মানবসেবার মূল চেতনা হলো মানুষের কল্যাণে কাজ করা—এ কথা পুনর্ব্যক্ত করলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডক্টর মানিক সাহা। বৃহস্পতিবার বৈষ্ণব আচার্য শ্রীমৎ মহানামব্রত ব্রহ্মচারীর ১২১তম আবির্ভাব দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
রাজধানীর বনমালীপুরে শ্রী শ্রী মহানাম অঙ্গন কর্তৃক আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র ও বিধায়ক দীপক মজুমদার, স্থানীয় কর্পোরেটর রত্না দত্তসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানে অসহায় ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী নিজ হাতে বস্ত্র তুলে দেন।
বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ধর্ম এবং কাজ আমাদের পরিচয়ের অন্যতম মাধ্যম। ধর্মের আসল উদ্দেশ্য হলো সমাজে ঐক্য স্থাপন এবং অসামাজিক কার্যকলাপ দূর করা।” তিনি বৈষ্ণব আচার্য মহানামব্রত ব্রহ্মচারীর জীবন ও কর্মের প্রশংসা করেন এবং উল্লেখ করেন যে তিনি কেবল আধ্যাত্মিকতায় নয়, মানবসেবায়ও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “স্বামী বিবেকানন্দের পর বৈষ্ণব আচার্য মহানামব্রত ব্রহ্মচারী ছিলেন দ্বিতীয় ভারতীয় যিনি বিশ্ব ধর্ম মহাসভায় আমন্ত্রণ পান। তিনি আধ্যাত্মিক চেতনার মাধ্যমে ভারতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছিলেন। মানবতার সেবায় তার নিরলস প্রচেষ্টা সমাজ পরিবর্তনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।”
শ্রী শ্রী মহানাম অঙ্গনের আয়োজনে অসহায় ও দুস্থ মানুষদের জন্য শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী নিজে এই মহতী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন, যা অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবার মধ্যে উদ্দীপনা সৃষ্টি করে। তিনি বলেন, “মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকাটাই আসল ধর্ম। মানবসেবা ও ধর্মচর্চার মাধ্যমে সমাজের উন্নয়ন সম্ভব।”