
কৈলাসহর,প্রতিনিধি অনুপম পাল,কৈলাসহরের মাগুরুলী গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক উত্তেজনাপূর্ণ ঘটনার প্রেক্ষিতে বুধবার বিকেলে মাগুরুলী সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন বিধায়ক বিরজিত সিনহা। এদিন তিনি প্রথমে মাগুরুলী বিএসএফ (১৯৯ নং ব্যাটেলিয়ন) ক্যাম্পে যান এবং সেখানকার জওয়ানদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। তিনি সীমান্তে ঘটে যাওয়া অনভিপ্রেত ঘটনার খোঁজখবর নেন এবং বিএসএফের ওপর আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানান।
বিধায়ক বিরজিত সিনহা বলেন, “বাংলাদেশি নাগরিকদের দ্বারা বিএসএফের ওপর আক্রমণ এবং বন্দুক টানাটানি একটি নিন্দনীয় ও অন্যায় কাজ। বিগত কিছুদিন ধরে বাংলাদেশের ভেতরে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা সীমান্তে উত্তেজনা সৃষ্টি করছে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, মাগুরুলী গ্রামের আন্তর্জাতিক সীমান্তের ৪৭ নং পিলারের কাছে এই অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে।
মাগুরুলীসহ ত্রিপুরার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকার কাঁটাতার মেরামত করা অত্যন্ত জরুরি। যদিও কাঁটাতার মেরামতের জন্য সাম্প্রতিক কালে কিছু অর্থ এসেছে, তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। তিনি বলেন, “উচ্চপদস্থ পুলিশ ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করে দুর্বল কাঁটাতারগুলোর দ্রুত মেরামত নিশ্চিত করা উচিত।”
“মাগুরুলী গ্রামের যেসব বাসিন্দা পাচার বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত, তাদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা উচিত। এভাবে তাদের অবৈধ কাজ থেকে দূরে রাখা সম্ভব।”
বিধায়ক মাগুরুলী বিএসএফ জওয়ানদের ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং তাদের তৎপরতাকে কুর্নিশ জানান। তবে, সীমান্ত এলাকায় এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তিনি স্থানীয় প্রশাসন ও সরকারের প্রতি সীমান্ত নিরাপত্তা আরও জোরদার করার আহ্বান জানান।
এভাবে মাগুরুলী সীমান্তে উত্তেজনা নিরসন এবং সীমান্ত এলাকার উন্নয়ন নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন বিধায়ক বিরজিত সিনহা।