
✍️প্রতিনিধি অনুপম পাল,কৈলাসহর
মহর্ষি দয়ানন্দ আর্ষ গুরুকুলের অষ্টম বার্ষিক উৎসবে আজ এক অনন্য আধ্যাত্মিক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। গুরুকুল প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই উৎসব ভক্তি, শিক্ষা ও সংস্কৃতির এক মিলনক্ষেত্রে পরিণত হয়। উপস্থিত অতিথি, শিক্ষার্থী এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা গুরুকুলের পবিত্র পরিবেশ, বৈদিক শিক্ষা ও আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এক গভীর আধ্যাত্মিক স্পর্শ অনুভব করেন।
উৎসবের মূল অনুষ্ঠানে গুরুকুলের ছাত্র-ছাত্রীরা বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণ, যোগসাধনা এবং নৈতিক শিক্ষার ওপর বিভিন্ন প্রদর্শনী উপস্থাপন করেন। অতিথিরা গুরুকুলের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা ব্যবস্থার ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আধুনিক সমাজে এর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজ শিক্ষা ও সমাজ কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন—”গুরুকুল শিক্ষা শুধু জ্ঞান অর্জনের মাধ্যম নয়, এটি চরিত্র গঠনের এক শক্তিশালী ভিত্তি। আজকের সময়ে যখন সমাজ নৈতিক সংকটের মুখোমুখি, তখন মহর্ষি দয়ানন্দ আর্ষ গুরুকুলের মতো প্রতিষ্ঠান সমাজকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারে। বৈদিক শিক্ষা শুধু প্রাচীন ঐতিহ্য নয়, এটি চিরকালীন সত্যের ধারক, যা আমাদের জীবনকে সুশৃঙ্খল ও মূল্যবোধনির্ভর করে তোলে। আমি গুরুকুল কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই, যারা এই মহান শিক্ষার আলোকে সমাজকে আলোকিত করার কাজ করে চলেছেন।”
মন্ত্রী আরও বলেন, সরকার সবসময় এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত, যারা সংস্কৃতি, মূল্যবোধ এবং নৈতিক শিক্ষার প্রসারে কাজ করছে।
ছাত্র-ছাত্রীরা ঐতিহ্যবাহী পোশাকে গুরুকুলের শিক্ষাদর্শ তুলে ধরেন। এই উৎসবের মাধ্যমে বৈদিক জ্ঞানের চিরন্তন আলো নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আয়োজকরা। সমাজের প্রতিটি স্তরে এই শিক্ষা পৌঁছে গেলে একটি নৈতিক ও আলোকিত সমাজ গঠিত হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।