কৈলাসহর,প্রতিনিধি অনুপম পালঃত্রিপুরার ঊনকোটি জেলার কৈলাসহরের মাগুরুলী গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তের ৪৭ নম্বর পিলারের কাছে একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে। বিএসএফ জওয়ান ও বাংলাদেশের ব্ল্যাকারদের মধ্যে সংঘর্ষে সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মাগুরুলী সীমান্ত দিয়ে কয়েকজন বাংলাদেশি পাচারকারী ভারতের এলাকা থেকে বিড়ি পাচার করছিল। টহলরত দুই বিএসএফ জওয়ান এই পাচার রুখতে এগিয়ে গেলে পাচারকারীরা তাদের সতর্কবার্তা অগ্রাহ্য করে। উত্তেজনা বাড়লে দুই বিএসএফ জওয়ান তাদের আটকানোর জন্য পাচারকারীদের পিছু ধাওয়া করেন এবং ভুলবশত বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন।
এই ঘটনায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। দুই বিএসএফ জওয়ান যখন ভারতের অংশে ফিরে আসতে শুরু করেন, তখন বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শুরু করে। তবে এর মধ্যেই বাংলাদেশের স্থানীয় গ্রামবাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে দুই বিএসএফ জওয়ানের উপর আক্রমণ চালায়।
বাংলাদেশের গ্রামবাসী সহ পাচারকারীরা বিএসএফ জওয়ানদের উপর শারীরিকভাবে আঘাত করতে উদ্যত হয়। এমনকি, তাদের বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার প্রচেষ্টা করে। এক পর্যায়ে, বাংলাদেশি এক সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিএসএফ জওয়ানদের রক্ষা করার চেষ্টা করেন।
তবে উত্তেজিত জনতা বিএসএফ জওয়ানদের কটূক্তি করতে থাকে এবং ভারতীয় সেনাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলে। তারা দাবি করে, বিএসএফ জওয়ানরা বাংলাদেশে গুলি চালিয়েছে এবং মহিলাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে। এই সময়ে, বিএসএফের আরও জওয়ান ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয় এবং উত্তেজিত গ্রামবাসী সহ পাচারকারীরা পিছু হটে।
এই সংঘর্ষের কারণে কৈলাসহরে মাগুরুলী গ্রাম পঞ্চায়েতের সীমান্ত এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। উভয় পক্ষের নিরাপত্তা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উভয় পক্ষের নিরাপত্তা বাহিনী এবং স্থানীয় প্রশাসনের সতর্কতা বজায় রাখা জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।