
Oplus_131072
✍️প্রতিনিধি অনুপম পাল,কৈলাসহর
বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে আলীনগর, নিশ্চিন্তপুর ও লালারচক এলাকায় পুরোনো বাঁধকে নতুন করে উঁচু এবং শক্তিশালী করার কাজ চলছে। এই নির্মাণকাজে বাঁধের নিচের অংশ ষাট ফুট এবং উপরের অংশ কুড়ি ফুট উঁচু করা হচ্ছে। যদিও এটি বাংলাদেশের জন্য সুরক্ষার বার্তা বহন করে, তবে ভারতের কৈলাসহরের জনগণের জন্য তা শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশের নতুন বাঁধের তুলনায় ভারতের অংশের বাঁধ বর্তমানে অত্যন্ত দুর্বল। প্রায় পঁচিশ বছর ধরে ভারতের অংশে কোনো বাঁধ মেরামত বা নির্মাণের কাজ হয়নি। ভারী বর্ষণ হলে বাঁধ ভেঙে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যদিও ভারতের পক্ষ থেকে জমি অধিগ্রহণ করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে, তবে অনেক এলাকায় এখনও বাঁধ নির্মাণ হয়নি। বিশেষত, লাটিয়াপুরা, মাগুরুলি, রাঙাউটি, এবং বড়বন্দ এলাকার বাঁধগুলো অসম্পূর্ণ থেকে গেছে।
লাটিয়াপুরার নদী ভাঙন ক্রমেই বাঁধের কাছাকাছি চলে আসছে। বাঁধ না থাকলে বর্ষার সময় বন্যা অবধারিত, যা পুরো কৈলাসহরের জীবনযাত্রাকে বিপর্যস্ত করতে পারে। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের উদ্বেগ বাড়ছে।
ভারতের সীমান্ত সুরক্ষাবাহিনী (বিএসএফ) বারবার আপত্তি জানিয়েও বাংলাদেশের জিরো পয়েন্টে নির্মাণ বন্ধ করাতে পারেনি। বিএসএফের অভিযোগ, বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী এসব আপত্তি উপেক্ষা করছে।
আজ জেলা শাসক দিলীপ কুমার চাকমা, অতিরিক্ত জেলাশাসক অর্ঘ্য সাহা, এবং গৌরনগর পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান বদরুজ্জামান সীমান্তের এই বাঁধ নির্মাণস্থল পরিদর্শন করেন। বিএসএফ ও স্থানীয় প্রশাসন তাদের পর্যবেক্ষণ রিপোর্ট জমা দিয়েছে।
বর্তমানে বাংলাদেশের নির্মাণকাজের অগ্রগতি এবং ভারতের অংশে বাঁধের দুর্বলতা কৈলাসহরের জন্য গুরুতর হুমকি। বর্ষার সময় বাংলাদেশ সুরক্ষিত থাকলেও ভারতের অংশ ডুবে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও কেন্দ্রীয় সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে সীমান্ত এলাকায় ভারসাম্য বজায় রাখা যায় এবং জনজীবনের সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।