
Oplus_131074
প্রতিনিধি অনুপম পাল, কৈলাসহর
আজ বিজয়া দশমী উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আর.এস.এস)-এর উদ্যোগে কৈলাসহর নগরে অনুষ্ঠিত হলো এক বিশেষ উৎসব। বিদ্যানগর স্কুল মাঠে আয়োজিত হয় এই বিজয়া দশমী উৎসব, যেখানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সমাজবর্গের প্রতিনিধিরা—শিক্ষক, শিক্ষিকা, বুদ্ধিজীবী এবং সংঘের স্বয়ংসেবকরা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঊনকোটি জেলা শিক্ষা আধিকারিক প্রশান্ত কিলিকদার। বৌদ্ধিক প্রবচক হিসাবে বক্তব্য রাখেন অপূর্ব কুমার নন্দী, আর নগর কার্যবাহ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রিপন পাল। বক্তারা তাঁদের বক্তব্যে বিজয়া দশমীর তাৎপর্য ও রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের শতবর্ষপূর্তির প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন।
তাঁরা বলেন, হিন্দু সমাজে বিজয়া দশমী কেবলমাত্র পাপের উপর পুণ্যের জয়ের প্রতীক নয়, বরং এটি পৌরুষ, শৌর্য ও শক্তি জাগরণের প্রতীকও বটে। ঠিক এই দিনেই, অর্থাৎ ১৯২৫ সালের বিজয়া দশমীর দিনে, নাগপুরে কেশব বালিরাম হেডগেওয়ারের নেতৃত্বে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রতিষ্ঠা হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংঘ ভারতবর্ষ জুড়ে সাংস্কৃতিক ঐক্য, জাতীয়তাবোধ এবং চরিত্রগঠনের মাধ্যমে সমাজসেবামূলক কাজ করে চলেছে।বর্তমানে সংঘের কার্যক্রম ভারতের প্রায় প্রতিটি প্রদেশে বিস্তৃত। দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘ শিক্ষা শিবির, সেবা প্রকল্প, বিদ্যালয়, এবং সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মসূচির মাধ্যমে সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে কাজ করছে। বক্তারা জানান, সংঘের কার্য প্রারম্ভের শতবর্ষ উদযাপনের প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে এবং আগামী বছর জুড়ে দেশজুড়ে নানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মসূচির আয়োজন করা হবে।
আজকের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বক্তারা আরও বলেন, “বিশ্ব শান্তি ও মানবকল্যাণের উদ্দেশ্য নিয়ে শত শত বছর ধরে হিন্দু সমাজে যে চেতনা প্রবাহিত হয়ে আসছে, সংঘের কাজ তারই আধুনিক রূপ।” অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা প্রার্থনার মধ্য দিয়ে মানব ঐক্য ও শান্তির বার্তা প্রদান করেন।অনুষ্ঠানকে ঘিরে ছিল উৎসবের আবহ। বিভিন্ন শাখার স্বয়ংসেবকরা শৃঙ্খলাবদ্ধ ভাবে উপস্থিত ছিলেন। কৈলাসহর নগরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের এই বিজয়া দশমী উৎসব সমাজের ঐক্য, দেশপ্রেম ও নৈতিক শক্তির প্রতীক হিসেবে এক অনুপ্রেরণামূলক উদাহরণ সৃষ্টি করেছে বলে শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের অভিমত।