
আগরতলা,নিজস্ব প্রতিনিধি,রাজ্যের প্রতিটি মণ্ডলে মণ্ডল সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল পয়লা ডিসেম্বর থেকে। কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশ অনুসারে ২৩ ডিসেম্বর চূড়ান্তভাবে মণ্ডল সভাপতিদের নাম ঘোষণা করা হয়। বামুটিয়া মণ্ডলে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর শিবেন্দ্র দাসকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। নতুন নেতৃত্বের উপর পুরনো কর্মীদের ভরসা এবং দলে ঐক্যের প্রত্যাশা আবারও জাগিয়ে তুলেছে।
২০১৭ সালে বাম সরকারের পতন ঘটিয়ে বামুটিয়া বিধানসভায় পদ্মফুল ফুটিয়েছিল দল। তবে ২০১৮ সালের পর থেকে দলের পুরনো কর্মীদের অনেকেই কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন। অভিযোগ উঠেছে, নেতৃত্ব নির্বাচনের সময় একাংশের নেতা-কর্মীরা নিজেদের সুবিধার্থে সিদ্ধান্ত নিচ্ছিলেন, যার ফলে একনিষ্ঠ কর্মীরা উপেক্ষিত হচ্ছিলেন। এর পাশাপাশি বাম শিবির থেকে আসা কিছু নেতা শাসক দলের উত্তরীয় গলায় ধারণ করে উচ্চপদে আসীন হচ্ছিলেন। এই পরিস্থিতি ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে দলের পরাজয়ের পটভূমি তৈরি করে।
একাধিক অভিযোগ উঠেছে, বাম আন্দোলনের সময় সক্রিয় কিছু নেত্রী শাসক দলের ছত্রছায়ায় ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি করে চলেছেন। দলীয় ঐক্য ও কর্মীদের স্বার্থের প্রতি উদাসীনতা এই পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে।
তবে, শিবেন্দ্র দাসের নেতৃত্বে মণ্ডল সভাপতি হিসেবে পুরনো কর্মীদের পুনরায় সক্রিয় করার দাবি উঠেছে। দীর্ঘদিন ঘরবন্দি থাকা দলীয় কর্মীরা এই নেতৃত্বে আস্থা রেখে দলে নতুন করে প্রাণসঞ্চারের আশা করছেন। দলের অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠী কোন্দল মিটিয়ে শিবেন্দ্র দাস কীভাবে দলকে শক্তিশালী করতে ভূমিকা পালন করবেন, তা এখন দেখার বিষয়।
দলের ভেতর ও বাইরে শিবেন্দ্র দাসের প্রতি কর্মীদের প্রত্যাশা বেড়েছে। তিনি যদি নিষ্ঠা ও কৌশলের সঙ্গে দলীয় ঐক্য স্থাপন করতে পারেন, তবে বামুটিয়া মণ্ডল আগের মতো শক্তিশালী হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।